চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার ভাবমূর্তি ও সমৃদ্ধ শ্রমবাজার

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

২৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন, জুলাই ২০২৪ এর যুগান্তকারী গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুপম প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। ছাত্র-জনতার সফল ও সার্থক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিগত কয়েক দশকে দারিদ্র মুক্তির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী পদযাত্রায় ক্ষুদ্র অর্থায়নের প্রবক্তা হিসেবে তিনি নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন-নারী উন্নয়ন এবং অপেক্ষাকৃত অবহেলিত নারীশক্তির স্বরূপ উম্মোচনে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। ক্ষুধা নিবারণে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান ছিল বিশ্বখ্যাত গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য।

 

ধারাবাহিকতায় কর্মীর পরিচয়কে উদ্যোক্তা বিশেষণে সমাজিক ব্যবসার অভূতপূর্ব ধারণা বিশ্ববাসীকে অভিভূত করেছে। শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ প্রত্যয়ে অভাবনীয় অনুপ্রেরণায় বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম উজ্জীবিত। উল্লেখ্য, মনন-সৃজনশীল ও মানবিক চেতনায় সঞ্চারিত সকল উদ্যোগ সর্বত্রই প্রশংসিত। সমগ্র ধরিত্রীকে উপকৃত করার মহান প্রয়াস ড. ইউনূসের নিজস্ব ভাবমূর্তিকে অসীম মর্যাদায় সমাসীন করেছে। উন্নত-অনুন্নত বিশ্বসহ প্রায় খ্যাতিশীর্ষ দাতা সংস্থা-সহযোগী সংগঠন এসব উদ্যোগকে বিশ্বজনীন উন্নয়ন মানদণ্ডের নিয়ামক হিসেবে দেখছে। ফলশ্রুতিতে যেকোন ধরনের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও মেগাপ্রকল্পের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে। সহনীয় শর্তে আর্থিক অনুদান-ঋণ বা অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতায় ইউনূস স্যারের নাম প্রবল শক্তিমান। তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠনের পরপরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অধিকতর সমৃদ্ধ হয়েছে। চলতি মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট রিজার্ভ পৌঁছেছে ২৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে অবৈধ হুন্ডি প্রথা অবজ্ঞা করে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিভিন্ন বৈধ চ্যানেলে সরাসরি দেশে প্রেরণ করছেন।

 

বিগত সরকার পতনের পূর্ব মাস অর্থাৎ জুলাই মাসে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অক্টোবর মাসের ১৯ দিনে বৈধ পথে আসা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স চমকপ্রদ অভিধায় পরিপুষ্ট। বিগত সরকারের আমলে বিশেষ করে চলতি বছরের শুরুর দিকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে মালয়েশিয়া, মালদ্বীপসহ কিছু দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয়। মূলতঃ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের ব্যর্থতার মূলে ছিল তৎকালীন অর্থলোভী-মানুষরূপী দানবের আবরণে কতিপয় জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, আমলা ও রাজনীতিবিদদের দুষ্টচক্র। পতিত সরকারের পক্ষ থেকে এদের নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং এমপি-মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতা, কদর্য পৃষ্ঠপোষকতায় তারা সীমাহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল। ইতিমধ্যে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদায়ী-ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক জন সংসদ সদস্যের কারসাজি ধরা পড়েছে। তারা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ঐ সময়ে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতা-অভিযোগের অন্ত ছিল না। দালালের দৌরাত্ম্য, পাসপোর্ট জটিলতাসহ নানান ঘৃণ্য কর্মকান্ড শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণকারী মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকেরা দেশে অধিকতর নিগৃহীত হয়েছেন। বিমানবন্দরে নেমেই তারা অরাজক আচরণ-ভোগান্তিতে নিপতিত হয়। অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (বামারু) প্রতিবেদনেও প্রবাসী কর্মীদের নানান দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর সর্বস্ব হারিয়ে-পুলিশের হাতে আটক হয়ে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে দেশে ফেরার দৃষ্টান্তও রয়েছে। ডব্লিউইডব্লিউউবি’র পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩ সালে শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬২১ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৮৩ হাজার ৭১৯ এবং নারী ২ হাজার ৯০২ জন। তবে সংস্থাটির নিকট পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীর কোন হিসাব নেই। অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টদের অভিমত, নিস্ফল অভিবাসনের প্রকৃত চিত্র আরও নাজুক। বছরে এ সংখ্যা হতে পারে লাখের বেশি। দেশে ফিরে আসা ২১৮ প্রবাসীর উপর বামারু কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে গিয়ে কোনো কাজ পাননি এমন কর্মীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ এবং চুক্তি অনুসারে কাজ পাননি ২০ শতাংশ।

 

নিকট অতীতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বন্ধ হয় সেখানকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার। সর্বশেষ সরকারিভাবে যারা মালয়েশিয়ায় ওয়ার্কার ভিসা (কর্মী ভিসা) পেয়েছেন তাদের গত ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে দেশটির সরকার। ফলে ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও শুধু বিমান টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মীর। গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমটি) পরিসংখ্যান অনুসারে, সেদিন পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ কর্মীর চাহিদাপত্রের বিপরীতে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন যেতে সক্ষম হয়েছেন। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও ৭ হাজার জন উড়োজাহাজের টিকেট ও ৯ হাজার ৯৭০ জন নিয়োগকর্তা থেকে প্রয়োজনীয় নথি নিতে না পারায় মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। ঐ কর্মীদের পাঠাতে বিগত সরকার নিয়োগের সময়সীমা বৃদ্ধিতে একাধিকবার অনুরোধ করলেও মালেয়শিয়া সরকার তা বারবারই অগ্রাহ্য করেছে।

 

আশাজাগানিয়া বিষয় হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মালেয়শিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের শ্রমবাজারে বিরাজিত সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আরব-আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত শ্রমিকদের মুক্তি, ভিসা জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের পুনরায় পাঠানো, বিগত দুই বছর ধরে ইতালির ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমাদানকারীদের দ্রুত ভিসা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ এবং প্রবাসী শ্রমিকদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়ার পদক্ষেপ বিশেষভাবে উচ্চকিত। তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের জন্য ঢাকার বিমানবন্দরে বিশেষ লাউঞ্জ করার সিদ্ধান্ত অতি তাৎপর্যপূর্ণ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত উপদেষ্টার মতে, ‘লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনদের যন্ত্রণা অনেক লাঘব হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সহায়তার জন্য তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে।’

 

বিজ্ঞজনদের মতানুসারে, এতসব সাফল্যের মূলে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সুখ্যাতি। অনেকেই এটিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অসাধারণ কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেও দেখছেন। সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ অনুরোধে সরকারকে আশ্বস্ত করেছেন যে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার কর্মীদের দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মারফত আরও জানা যায়, অনিষ্পন্ন ভিসার আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালীয় দূতাবাস। আগামী দুই মাসের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক পাসপোর্ট ফেরত দিবে দূতাবাসটি। দূতাবাসে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ভিসা আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করে।

 

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমটি) তথ্য অনুযায়ী, ঐ সময় থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গেছে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি। তন্মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ ইতালি ও শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ্য যুক্তরাজ্যে। সবচেয়ে বেশি জনশক্তি গিয়েছে সৌদি আরবে। এর সংখ্যা প্রায় ৫৮ লাখ। যা মোট জনশক্তি রপ্তানির প্রায় ৩৬ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৬ লাখের বেশি মানুষ যায় এ দেশে। প্রায় ১৯ লাখ মানুষের শ্রমবাজার নিয়ে ওমান রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এর পরে রয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত শ্রমিক গিয়েছে সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি। দেশটিতে রয়েছে বাংলাদেশের ৯ শতাংশের বেশি শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া। যদিও সরকারি নথিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকায় ১৬৮ দেশের নাম রয়েছে। উল্লেখ্য সংস্থার মতে, তালিকায় থাকা দেশের মধ্যে ৩১টি দেশে বিগত ৫ বছরে কোনো কর্মী যায়নি।

 

তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এটি সুস্পষ্ট যে, কুৎসিত সিন্ডিকেট বাণিজ্যের আড়ালে পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সরাসরি সংযোগ ছিল। আকাশচুম্বী অর্থলোভ শ্রমবাজারকে করেছে কলুষিত। দেশ বঞ্চিত হয়েছে অধিক সংখ্যক বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমকিদের কর্মসংস্থান যোগানে। বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নে প্রতিবন্ধকতা নানামুখী বাণিজ্য সংকট তৈরি করেছে। আমদানি নির্ভর সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর সরবরাহ ব্যাহত হলে মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করে। দেশজুড়ে নির্মিত হয় জনদুর্ভোগ এবং হাহাকার। স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার অতি উচুমার্গের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি শ্রমবাজারের সামগ্রিক সংকট উত্তরণে নতুন পথ প্রদর্শনে বিবেচ্য। প্রত্যাশিত যে, অচিরেই বাংলাদেশ শ্রম রপ্তানিতে নতুন মাত্রিকতায় আবির্ভূত হবে।

 

লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী।

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট