গত ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সিএমপির বিভিন্ন থানায় মোট ১৬২টি মামলা রুজু হয়েছে।এই সময়েই ২৯৪ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার হয়েছেনে ৪৯৪ জন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি জানান, গত ১৫ দিনে প্রায় ১৯ হাজার পিস ইয়াবা, ৫৮ কেজি গাঁজা ও ১০৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার হয়েছে। মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা রুজু হয়েছে ২৬টি। গত কয়েকদিনে ২টি পিস্তলসহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ও থানা পুলিশ। সিএমপির বিভিন্ন থানা থেকে লুণ্ঠিত ৯৪৮টি অস্ত্রের মধ্যে ৭৮২টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ এছাড়া পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ওপেন হাউজ ডে-তে সরাসরি অভিযোগ করতে পারায় সুফল পাচ্ছেন নগরবাসী। যে-কোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করছেন সিএমপি কমিশনার। নগরীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমগ্র মহানগরে প্রায় একশত মোটরসাইকেল প্যাট্রোলিং করে যাচ্ছে। এই প্যাট্রোলসমূহ নগরীর আনাচে-কানাচে অলিগলিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে চলেছে। নগরীর প্রত্যেকটি থানাতে প্রতিদিন দুইবার করে শুরু হয়েছে তল্লাশি কার্যক্রম। জনগণের সাথে দূরত্ব ঘোচাতে কমিউনিটি পুলিশের পুরোনো সকল কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি পুনর্গঠনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই পুনগর্ঠিত কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধিসহ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার, মত-পথের প্রতিনিধি থাকবেন।
সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ পূর্ণোদ্যমে শুরু করেছে তাদের কার্যক্রম। গত ১ মাসে সিএমপির চারটি ট্রাফিক বিভাগে ২৮৭৯টি মামলা প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা সংগ্রহ করে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। অভিযান শুরু হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অননুমোদিত, র্যুট পারমিটবিহীন ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহনের বিরুদ্ধে। গত ১ মাসে ট্রাফিক বিভাগ ১৮৯৪টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৭৩০টি অনুমোদনবিহীন সিএনজি ও ১৭৯৮টি অন্যান্য গাড়ি আটক করে।
সিএমপির এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে নগরীর সকল সুনাগরিকের সহায়তা কামনা করছেন সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ