নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে গত ২১ সেপ্টেম্বর। বিলুপ্তির ১৪ দিনেও হয়নি নতুন কমিটি। কমিটি ছাড়াই চলছে নগর যুবদলের কার্যক্রম। তবে থেমে নেই নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশীরা। নেতৃত্বে আসতে তারা কেন্দ্রে গিয়ে নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। একইসাথে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছেও তারা তদবির করছেন।
১৩ জুন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে ছিল কেন্দ্র। এরপর গত ৭ জুলাই নগর বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিন মাসেও হলো না নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দলের মুরব্বি সংগঠন বিএনপির মতো যুবদলের কমিটি ঘোষণা একইভাবে বিলম্বিত হবে কিনা এ নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নগর যুবদলের নেতাকর্মীর মধ্যে। তারপরও বসে নেই পদ প্রত্যাশীরা। কাক্সিক্ষত পদ পেতে তারা জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সবাই পুরনো কমিটির নেতৃবৃন্দ। এদের মধ্যে সভাপতি পদে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, ২নং সহ সভাপতি শাহেদ আকবর, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা হচ্ছেন, বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেল ও কোষাধ্যক্ষ মো. নুর হোসেন উজ্জ্বল। তবে দলের অপর একটি সূত্র বলেছে ভিন্ন কথা। আপাতত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মহানগর যুবদলের একটি আহ্বায়ক অথবা মূল কমিটি ঘোষণা হতে পারে। তাতে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদকে পুনরায় একই পদে দেখা যেতে পারে।
সূত্র আরো জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যৌথ টিম চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। বর্তমানে ঢাকা বাইরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তারা ঢাকায় ফিরলে নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ জুন পাঁচ সদস্যের নগর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এতে মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে সভাপতি এবং মুহাম্মদ শাহেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে একই বছরের ৪ অক্টোবর কমিটির আকার বৃদ্ধি করে ২৩১ সদস্যে উন্নীত করা হয়। দুই বছরের জন্য গঠিত ওই কমিটি ৬ বছর সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে। দায়িত্ব পালনকালে নগরের ১৫ থানা ও ১৭টি ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত কমিটির পূর্বে ২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর কাজী বেলালকে সভাপতি ও মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের নগর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সংসদ। তবে কমিটি ঘোষণার সাথে সাথেই চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরোধিতায় ওইদিন রাতেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা এই কমিটি স্থগিত করতে নির্দেশ দেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
পূর্বকোণ/পিআর