চট্টগ্রাম বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

পরমতসহিষ্ণুতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

১৫ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, ধর্ম-বর্ণ-দলমত-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সমাজে বসবাসকারী সকল মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বস্বীকৃত। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করার পবিত্র আচরণের অপর নাম পরমতসহিষ্ণুতা। পবিত্র ইসলামসহ সকল ধর্মমতে, কারো কথা-কাজ বা ব্যবহারে ক্রোধান্বিত বা প্রতিশোধপরায়ণ না হয়ে ধৈর্য্য-সংযম-সহনশীলতার সাথে নিজ নিজ কর্তব্য পালন প্রত্যেক সভ্যনাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। একই সাথে অপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করাও অপরিহার্য। ইসলাম ধর্ম মানবিক সম্পর্ক উন্নয়ন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নির্দেশনা দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়াল ইরশাদ করেন, ‘ভালো ও মন্দ সমান নয়, তুমি যা উত্তম তা দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করো; ফলে তোমার ও যার মধ্যে চরম শত্রুতা, সে তোমার পরম বন্ধুতে পরিণত হবে (সূরা হা-মীম সেজদাহ, আয়াত-৩৪)। আমাদের প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল পরমতসহিষ্ণুতা। ইসলামের খলিফাগণেরও অন্যের মতামত ও বিশ্বাসের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। আমাদের জাতীয় জীবনে শান্তিশৃঙ্খলা সুরক্ষায় পরমতসহিষ্ণুতার গুরুত্ব অপরিসীম। যে সমাজে পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা যত বেশি, সে সমাজে অপরাধ প্রবণতা তত কম। এটি গণতন্ত্রের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে প্রতিভাত।

 

গণতন্ত্রের প্রাথমিক মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, অর্থাৎ ব্যক্তির মৌলিক স্বাধীনতা তথা চিন্তা-বাক-সংগঠন-ভোটপ্রদান-দলগঠন এবং অংশগ্রহণ-প্রার্থী-নির্বাচনে অংশগ্রহণ-স্বেচ্ছায় নির্বাচন গ্রহণ-বর্জনসহ অভিযোগ উত্থাপনের সমূহ স্বাধীনতা। সার্বিকভাবে জীবনধারণ-পরিবার গঠন-নিরাপত্তা-আইনের আশ্রয়-স্বাধীন মতামত প্রকাশ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা বিরোধিতার অধিকার সকল কিছুকেই অন্তর্ভূক্ত করার মধ্যেই গণতন্ত্রের গতিশীলতা-শক্তিমানতার বিকাশ ও বিস্তার লাভ করে। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় ব্যক্তিত্বের উন্মেষ অধ্যায় তৈরির সাথে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হচ্ছে নির্ভরযোগ্য সহনশীলতা, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা। যে কোন সামাজিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশমানতার একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিশ্বাস-আস্থাশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ। গণতান্ত্রিক পাঠ্যক্রমের মূখ্য শিক্ষাই হচ্ছে নিজের ইচ্ছার সাথে অন্যের ইচ্ছার সমন্বয় ঘটানো বা অধিকাংশের ইচ্ছা বা আগ্রহকে যৌক্তিকভাবে নিজের বা ব্যক্তির অধিকারে সন্নিবেশন। ভল্টেয়ার বলেছেন, ‘তোমার মতের সাথে আমি একমত নাও হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে প্রাণ দেব’।

 

এটি অধিকতর সত্য যে, গণতন্ত্রের প্রধান উদ্দেশ্য জনগণের শাসন শুধু প্রতিষ্ঠা নয়; শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদানও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য। বস্তুত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী চিন্তা মানুষের অন্ধবিশ্বাসের মূলে আঘাত হেনে সমাজদর্শন এবং রাষ্ট্রচিন্তার বিষয়ে মানুষের মানসিক-মানবিক শক্তিকে একীভূত করেছে। তারই সফল উচ্চারণ গণতন্ত্রায়ন ও জ্ঞান-সভ্যতার সমকালীন পরিচর্যা। এরই যথার্থ বহির্প্রকাশ ঘটেছে ইউরোপীয় রেঁনেসা বা পুনর্জাগরণে। যা মানুষকে পার্থিবজগত ও পরিবেশের অপরিসীম সৌন্দর্য্য-আনন্দকে উপলব্ধি করার ক্ষমতায় অত্যুজ্জ্বল করেছে। সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যথাযথ রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ইত্যাদির যৌক্তিক পরিবর্তনে এর ইতিবাচক রূপই সংস্কার আন্দোলনকে গতিশীল করে আসছে। মানুষকে তার নিজের শক্তির প্রতি আস্থাশীল করা এবং সকল মানবীয় শক্তিকে জাগ্রত করে সমাজ উন্নয়ন ছিল রেঁনেসার মূখ্য উদ্দেশ্য। কালক্রমে যা সম্প্রসারিত হয়েছে প্রাচ্যের এতদঞ্চলে এবং তারই বিকাশমান ধারায় উজ্জীবিত আজকের দক্ষিণ এশিয়ার স্বাধীন সত্ত্বার সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।

 

বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় প্রতিটি জাতিরাষ্ট্রই গণতন্ত্রকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান উপাদান হিসেবে গ্রহণ করেছে। অধুনা উন্নয়নশীল দেশসমূহে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রায় প্রতিটি দলেরই আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ব্যক্তিমানুষের স্বাধীনতা এবং সৃজনশীলতার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিটি রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রের মৌলিক বিষয় হওয়া সত্তে¡ও এর প্রতিফলন কতটুকু প্রায়োগিক প্রাসঙ্গিকতায় গ্রহণযোগ্য, তা বিচার-বিশ্লেষণের দাবী রাখে। বিংশ শতাব্দীর সংঘটিত নানা ঘটনাপ্রবাহের পর্যালোচনায় দেখা যায়; মুক্তসমাজ প্রতিষ্ঠার বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক শিখরের গভীরে প্রোথিত ছিল মানবজাতির আইনের শাসন, সীমিত সরকার ও ক্ষমতার ভারসাম্যের চিন্তা-চেতনা-ধারণার সমন্বিত প্রয়াস। এরই ভিত্তিতে বিভিন্ন স্বৈরতন্ত্রের ঘৃণ্য নীতিমালাকে পর্যদুস্ত করে গণমানুষের ইচ্ছাশক্তি, ঋজুতা ও সৃষ্টিশীলতার অবারিত ক্ষেত্র মানবতাবাদের বিজয়কে নিশ্চিত করেছে। এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, পরশ্রীকাতরতা-প্রতিহিংসাপরায়ণতা সংহার করে পর্যাপ্ত আলোচনা-আপোষ-সমঝোতার ভিত্তিতে নাগরিক স্বাধীনতা ভোগের উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও কার্যক্রম সচল থাকে। জনগণের স্বাভাবিক জীবননির্বাহের অধিকার নিশ্চিতকল্পে পবিত্র সংবিধান হয়ে থাকে রাষ্ট্রব্যবস্থাপনার উৎসসূত্র। ‘বন্দুকের নল নয়, জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু’ প্রতিপাদ্যকে পরিপূর্ণ ধারণ করেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উৎকর্ষতা সভ্যসমাজের প্রণিধানযোগ্য অনুষঙ্গ।

 

এটি সর্বজনস্বীকৃত, রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই পরিশুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে চলমান সক্রিয়তায় পরিপুষ্ট। খ্রীষ্টপূর্ব ২৪০০ বছর পূর্বে হেরোডেটাস (৪৮৪-৪২৪ ইঈ) কর্তৃক প্রণীত গণতন্ত্রের ধারণাকে এখনও স্বাভাবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক কাঠামোর অতি নিকটতর মনে করা হয়। আদিম মানবগোষ্ঠীর সহজ-সরল শাসনব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ধরে রাজতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র নামক অস্বাভাবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে জনগণ জীবনব্যবস্থা রূপে গণতন্ত্রকে বেছে নেবে- এই ইঙ্গিত প্রায় সকল সমাজ ও রাষ্ট্র দিয়ে গেছে। আমরা জানি, প্রাচীন গ্রীস ও রোম এর সরকার পরিচালনায় নাগরিকের অংশগ্রহণের অধিকার প্রচলিত ছিল। প্রাচীন গ্রীসে সীমিত সংখ্যক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ছোট ছোট নগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকেরা সরাসরি ভোট দিত। কিন্তু এসব গণতন্ত্রে নিম্নবিত্ত কিংবা ক্রীতদাসদের কোন স্থান ছিল না। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার বহু পূর্বে ইংল্যান্ডে পার্লামেন্ট সরকার চালু ছিল। ইংল্যান্ডে প্রায় হাজার বছর পূর্বে হাউজ অব ল’স প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে ইংল্যান্ডে আইন প্রণয়নে হাউজ অব কমন্স এর অংশগ্রহণ কারো অজানা নয়।

 

সামগ্রিক অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বহু পূর্ব থেকেই অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সংখ্যালঘিষ্ঠতার বিভাজনে সংসদীয় শাসন পরিচালনা করত। এই সংসদীয় কাঠামো বজায় রেখে ইংল্যান্ডে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় অনেক পরে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরেও বহুকাল ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। আধুনিককালে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের আইন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে ব্যবস্থা, তাকেই বর্তমানে গণতন্ত্রের মূল প্রত্যয় হিসেবে অভিহিত করা হয়। মূলত এর উৎপত্তির পিছনে রয়েছে শিল্প বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় ফরাসী বিপ্লবের যে দার্শনিক ভিত্তির গোড়াপত্তন তথা সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার চেতনার বাস্তব অভিব্যক্তি। এর সর্বোত্তম স্বরূপ উম্মোচিত হয়েছে আব্রাহাম লিংকনের ইতিহাসসমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক সরকারের সংজ্ঞায় – ‘Government of the people, by the people and for the people’ যদিও ইংল্যান্ডে বেশ কিছুকাল আগেই রাজা কর্তৃক নাগরিকদের সনাতন অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে সপ্তদশ শতাব্দীতে সংঘটিত সংঘাতের ফলশ্রুতিতে প্রণীত The Petition of Right, ১৬২৮ এবং The Bill of Rights, ১৬৮৯ রাজার একচ্ছত্র ক্ষমতাকে খর্ব করে আইনসভা ও বিচারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। গণতন্ত্রের আদর্শকে উজ্জীবিত করার নিরন্তর ধারাবাহিকতা ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন ও ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের গৌরবগাঁথায় আবর্তিত।

 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর লাস্কির ভাষায় ‘কোন রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সে রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রদত্ত অধিকার দ্বারা’ এবং গণতন্ত্রকে যথার্থ মর্যাদায় আসীন রাখতে পারে জনগণের সঠিক চেতনা ও সতর্ক পাহারা যেটি লাস্কির ভাষায়- eternal vigilance is the price of liberty. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক অন্তর্নিহিত দুর্বলতা বা গুটিকয়েক ব্যক্তি বা ক্ষুদ্রতর গোষ্ঠীর ক্ষমতা চর্চার প্রচলনও দৃশ্যমান ছিল। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র অনুশীলন করা হলেও এটি গণতন্ত্রকে সবচেয়ে কম স্বৈরাচারী সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল, সবচেয়ে কম কঠোর এবং সবচেয়ে বেশি সহানুভূতিশীল বলে অনেক মনীষী ধারণ করেছেন। প্রথিতযশা প্রায় সকলেই গণতন্ত্রের দুর্বলতা, অপূর্ণতা ও অপপ্রয়োগ স্বীকার করেও এর অপরিহার্যতার প্রতি অকৃত্রিম সমর্থন দিয়েছেন।

 

আধুনিক গণতন্ত্রের বিকাশের ভিত্তিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা ও মুক্তি তথা মানবজাতির মুক্তির সনদ হিসেবে জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২১তম অনুচ্ছেদের ৩নং ধারা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘সরকারের কর্তৃত্বের ভিত্তি হবে জনগণের ইচ্ছা যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সার্বজনীন ও সমান ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গোপন ভোটের মাধ্যমে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান অর্থাৎ জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন’ জাতিসংঘ ঘোষিত এ নীতিমালা গণতান্ত্রিক ধারাকে সমগ্র বিশ্ব সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। অনুচ্ছেদের ১নং ধারা বিশ্বের প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাধীনভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণের অধিকার অর্জন করেছে। যথার্থ অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার সমুজ্জ্বল গতি-প্রকৃতির অবগাহনে গণতন্ত্র শুধু যে সরকার গঠন সম্পর্কিত বিষয় তা কিন্তু নয়। আধুনিক গণতন্ত্রের বিজ্ঞতাত্ত্বিক লিন্ডসের ভাষায়, গণতন্ত্র একটি সামাজিক প্রক্রিয়াও বটে। এটি মূলত কতগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সামাজিক মূল্যবোধের সমন্বিত পরিচর্যা-প্রতিফলন-রোডম্যাপ স্বরূপে বিবেচ্য। সামগ্রিক বিশ্লেষণে এটি সুস্পষ্ট যে, সমাজে বিরাজিত বৈষম্য উৎপাটনে গণতন্ত্র বিকাশের কোন বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির নানামুখী উপাদান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য। সহিংসতা-বিরোধ-বিচ্ছেদ নয়, সৌহার্দ-সম্প্রীতি-সহিষ্ণুতাই মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মৌলিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচ্য। আইনের শাসনকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে নাগরিকবৃন্দ স্ব স্ব অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনই সময়ের জোরালো দাবী।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট