মাস খানেক পরেই কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদকে ঘিরে চলছে পশু বেচাকেনার নানা প্রস্তুতি। এরমধ্যে জেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ পশু। তবে এবার কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি হলেও বাজারে এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এবার সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৯ হাজার ৬৩৮টি পশুর চাহিদা রয়েছে সন্দ¦ীপ উপজেলায়। সবচেয়ে কম ১৩ হাজার ৬৯৮টি পশুর চাহিদা রয়েছে নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায়। অন্যান্য এলাকার মধ্যে সাতকানিয়ায় ৪৩ হাজার ২৮৮টি, চন্দনাইশে ৪৮ হাজার ৭৯৯টি, আনোয়ারায় ৫২ হাজার ৩৩৮টি, বোয়ালখালীতে ৩৮ হাজার ৮১৫টি, পটিয়ায় ৬৬ হাজার ৮৬৩টি, কর্ণফুলীতে ২৮ হাজার ১১৫টি, মিরসরাইয়ে ৬০ হাজার ৮৪৯টি, সীতাকু-ে ৫৩ হাজার ১৫০টি, হাটহাজারীতে ৫১ হাজার ২৬৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৫২ হাজার ৫৬০টি, ফটিকছড়িতে ৫৫ হাজার ৩৩৮টি, লোহাগাড়ায় ৫০ হাজার ৫৩৮টি, রাউজানে ৪২ হাজার ৩৬৪টি, বাঁশখালীতে ৪৫ হাজার ৮৮৬টি, ডবলমুরিং এলাকায় ৬০ হাজার ৩৮৯টি এবং পাঁচলাইশে ৪১ হাজার ৫৫৯টি পশুর চাহিদা রয়েছে।
তবে চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১টি পশু। সেই হিসেবে ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে এবার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫১ হাজার ৩৬৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে ডবলমুরিং এলাকায়। আর চাহিদার চেয়ে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ১৯১টি পশু উদ্বৃত্ত আছে ফটিকছড়ি উপজেলায়।
চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি পশুর মধ্যে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৬টি ষাঁড়, ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৫টি বলদ, ৩৭ হাজার ৮৪৪টি গাভী, ৭১ হাজার ৩৬৫টি মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি ছাগল, ৫৮ হাজার ৬৯২টি ভেড়া এবং ৪৪টি অন্যান্য পশু রয়েছে।
প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে ঘিরে নগর ও গ্রামাঞ্চলে কয়েক ডজন পশুর হাট বসে চট্টগ্রামে। এসব হাটে বিক্রির জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা ও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশকিছু পশু নিয়ে আসেন খামারিরা। আর তাতে পশুর ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে পশুর সংখ্যা। সেসব এলাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটে প্রচুর পশু আসে, এবারও আসবে। তাই কোনো সমস্যা হবে না। তবে এবার উৎপাদন ব্যয় একটু বেশি, তাই পশুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বাজারের সঙ্গে দরদামের সমন্বয় থাকবে, খুব বেশি বাড়বে না।’
পূর্বকোণ/পিআর