সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার শিপ এমভি আবদুল্লাহ ইউএই সময় আজ শনিবার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ে বাংলাদেশের কুতুবদিয়া থেকে ৫শ নটিক্যাল মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে রয়েছে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক ক্রুর দলের সবাই সুস্থ সবল আছেন এবং দেশে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার জন্য উম্মুখ হয়ে আছেন বলে জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল রশিদ পূর্বকোণকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যটি সরাসরি পাঠকদের উদ্দেশে দেয়া হল।
সোমালীয় জলদস্যুদের কাছ থেকে ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার পর আমরা সরাসরি দুবাইর উদ্দেশে ৫৫ হাজার টন কয়লার কার্গো নিয়ে আসি। ২১ এপ্রিল হামরিয়ার বহির্নোঙরে পৌঁছে ২২ এপ্রিল আমরা হামরিয়া বন্দরে ঢুকি। এখানে আমাদের কয়লার কার্গো ডিসচার্জ করি। এরপর আমরা ২৭ তারিখ মিনা সাকারায় এংকর করি। ২৮ তারিখ মিনা সাকারায় আমাদের খালি জাহাজটি বার্থিং করে ওখান থেকে আমরা চট্টগ্রামের জন্য লাইমস্টোন লোড করি। আমরা সর্বমোট লোড করি ৫৬ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন। ওখান থেকে আমরা সেইল আউট করে ইউএইর ফুজাইরাহর এংকোরেজে আসি, আমাদের তেল নেয়ার জন্য বাংকার করতে।
৩০ এপ্রিল বাঙ্কার শেষ করে আমরা ফুজাইরাহ থেকে নোঙ্গর তুলে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। ১ মে রওনা দিয়ে ইরানিয়ান কোস্ট হয়ে ইন্ডিয়ান কোস্ট ধরে প্রথমে করাচি ও পরে মুম্বাইয়ের কাছ দিয়ে ধীরে ধীরে ওয়েস্ট কোস্ট অব ইন্ডিয়া হয়ে শ্রীলঙ্কা আসি। শ্রীলংকার উপকূল হয়ে আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। এখন কুতুবদিয়া থেকে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। আশা করছি ১৩ মে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ইনশআল্লাহ আমরা কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে পৌঁছে ওখানে আমাদের কিছু কার্গো আনলোড করব। সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন লাইম স্টোন আমরা এখানে দুদিনে ডিসচার্জ করে ১৫ তারিখ বিকালে বা ১৬ তারিখ সকালে চট্টগ্রামের সি বিচের এ্যাংকোরে পৌঁছাবো যেটাকে আমরা আলফা এংকোরেজ বলি।
তবে মুক্তিপণের অর্থের পরিমাণের ব্যাপারে মাস্টার ক্যাপ্টেন কোন তথ্য দেননি। যদিও মুক্তিপণ বাবদ জাহাজ কর্তৃপক্ষকে সোমালীয় জলদস্যুদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার গুণতে হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সংবাদ এসেছে।
পূর্বকোণ/বাপ্পি/জেইউ