চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবার গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ মার্চ, ২০২৪ | ৫:১৮ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় ‘জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির’ একটি খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জমা দিয়েছে। এর আগে দেশটি একই ধরনের তিনটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল।

 

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে এমন একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছি যাতে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্য গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা আশা করি অন্যান্য দেশ এতে সমর্থন দেবে।’

 

তিনি বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব সফরের সময় সৌদি সংবাদমাধ্যম ‘আল হাদাথকে’ বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি শক্তিশালী বার্তা। একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠাবে।’

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক। এর আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান থেকে বিশ্ব সংস্থাকে বাধা দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা ইসরায়েলের সাথে এবং তার আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু একই সাথে এটা অপরিহার্য যে, বেসামরিক নাগরিকরা যারা মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যারা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে ভয়ঙ্করভাবে ভুগছে, আমরা তাদের দিকে মনোনিবেশ করেছি। যাতে আমরা তাদের অগ্রাধিকার ও বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, তাদের মানবিক সহায়তা পাওয়া সুগম করতে পারি।’

 

ব্লিঙ্কেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তারপর বৃহস্পতিবার মিশর এবং সবশেষে ইসরায়েল অন্তর্ভুক্ত আঞ্চলিক সফরের প্রথম ধাপে বুধবার সৌদি আরবে অবতরণের পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে আলোচনা করেন।

 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে এটি তার ষষ্ঠ সফর। ব্লিঙ্কেনের সফর কাতারে আলোচনার সমান্তরালভাবে চলে। সেখানে মধ্যস্থতাকারীরা বুধবার তৃতীয় দিনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি সুরক্ষিত করার নতুন প্রচেষ্টায় মিলিত হয়েছিল।

 

কাতারে আলোচিত পরিকল্পনাটি সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে কারণ, জিম্মিদের ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময় এবং ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।

 

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের এএফপি’র সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। যাদের মধ্যে ১৩০ জন গাজায় রয়ে গেছে বলে ইসরায়েল বিশ্বাস করে। এদের মধ্যে ৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে প্রায় ৩২ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন