চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

খুশি মনে বোরো চাষে ব্যস্ত লোহাগাড়ার কৃষকেরা

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

লোহাগাড়া সংবাদদাতা

২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

সময়ের সদ্ব্যবহারে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা পুরোদমে বোরো ধান চাষে খুশি মনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

 

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ২ শত ৯৬ হেক্টর। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩ শত ৫০ হেক্টর আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান প্রক্রিয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি অর্জন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল ইসলাম।

 

সাম্প্রতিককালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এবারে বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব খাতের অধীনে কৃষকদেরকে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ধান ও সার দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার ৪ শত কৃষককে ২ কেজি করে বীজ এবং উপশী ১ হাজার ৭ শত ৯০ জনকে ৫ কেজি করে বীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এফএও-উপশী ৭ শত ২২ জনকে ৫ কেজি করে, জাতীয় সংঘ (আমিরাবাদ ও আধুনগরে) এমওপি ১০ কেজি করে ও ডিএপি ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে। বীজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে ১টি। পাটনার প্রকল্পের আওতায় ৪টি প্রদর্শনী রয়েছে। এরমধ্যে ২টি বিনা ধান-২৫ এর কমিনিউটি প্রদর্শনী এবং অপর ২টি এডব্লিউডি বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী। পাশাপাশি রাজস্ব খাতে ২ শত ৩০ জনকে উপশী বীজ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কৃষকেরা খুশি মনে নিজেদের পছন্দমতো ব্রি.ধান-৭৪, ব্রি.ধান-৮৮, ব্রি.ধান-৮৯, ব্রি.ধান-৯২, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এবং বিনা ধান-২৫ প্রভৃতির চাষে ঝুঁকে পড়েছেন বলে

তিনি উল্লেখ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বোরো ধান চাষিরা চাষের জমির আবাদ করার কাজে ব্যস্ত আছেন। তবে, অনেকে পাওয়ার টিলার সঙ্কটের সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন।

 

পদুয়া ইউনিয়নের ফরিয়াদিকূল এলাকার কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, তিনি এবার ১ শত ৬০ শতক জমিতে বোরো ধানের চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। হাইব্রিড ধানের চাষ তার পছন্দের। সরকারিভাবে কোন সাহায্য পাননি। নিজস্ব অর্থায়নে চাষ করছেন।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিউল ইসলাম বলেন, এলাকার কৃষকদের মধ্যে অনেকই বর্ষার বন্যায় ও বানের পানিতে জমির ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভিন্ন মৌসুমে চাষাবাদ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষকেরা সাধ্যমতো জমি আবাদ করে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা সঠিক সময়ে উন্নতমানের বীজের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করেছেন। কোন কোন এলাকায় বোরো ধান রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ছড়ায় বাঁধ নির্মাণ, রাবার ড্যাম, গভীর নলকূপ, স্যালো পাম্প প্রভৃতির মাধ্যমে পানি সেচের ব্যবস্থাসম্মত এলাকায় কৃষকেরা বোরো ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষকেরা পাওয়ার টিলার সংঙ্কটে চাষাবাদে সমস্যার সম্মুখীন হন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট