চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আগাম আনারস চাষ বাড়ছে পাহাড়ে

মো. নাজমুল হোসেন রনি, নানিয়ারচর

২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৮:১১ অপরাহ্ণ

পাহাড়ি টিলাভূমিতে চাষ করা আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। ফলে পাহাড়ে আগাম আনারস চাষ বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই আনারস পৌঁছে যাওয়ায় বেশি লাভের আশা দেখছেন চাষিরা।

 

স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারে মৌসুমের আগেই ফলন মিলছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে চাষি ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। মৌসুম শুরুর বেশ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উৎপাদিত ফল আনারস।

 

‘হানিকুইন’ জাতের আনারস নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসেই আগাম জাতের আনারসের চাষ শুরু করে চাষিরা। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষিদের লোকসান গুনতে হতো, সেখানে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। তবে, ঘাটে আনারস সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি বলছেন ব্যবসায়ীরা।

 

উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষি মো. কাদের জানান, প্রতিটি আনারস বিক্রি করেছেন বাগানেই ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। মৌসুমে আনারসের ভালো দাম পাই না। তাই এখন আগাম চাষ করি। এই বছরে বাজারে সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ কৃষক আনারস চাষ করতে ইচ্ছুক নন। সরকারের উচিত, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে আনারস চাষিদের প্রণোদনার আওতাভুক্ত করা এবং নানিয়ারচরে স্থাপিত চিপস কারখানাটি চালু করা।

 

পাইকারি মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী আকরাম খান জানান, ‘বাজারে ফলের সরবরাহ কম থাকায় আনারসের দাম বেশি। আগাম আনারস হওয়ায় মৌসুমের চেয়ে এখন দামে কিনতে হচ্ছে। মৌসুমে প্রতি পিস ৫-৭ টাকায় কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১৫-২০ টাকা দরে। আমরা এগুলো ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করি।

 

নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব বলেন, এ বছরে ১১০০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। মৌসুমে আনারসের ব্যাপক ফলন হওয়ায় অনেকে বাড়তি লাভের আশায় কয়েক বছর ধরে আগাম চাষে ঝুঁকছেন।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট