বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ৪ হাজার থেকে মাত্র ৮ আর দূরত্বে থেকে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। চা বিরতির পর ৮ রান করে ওই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন তিনি। এদিন অবশ্য খুব বেশি রান করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম এই স্তম্ভ। ব্যক্তিগত ১৪ রানে শেরমন লুইসের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। বর্তমানে টেস্টে মুশফিকের মোট রান ৪০০৬ রান। যা বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪০৪৯ রান নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল। মুশফিকের সামনে রয়েছে তামিমকে ছাড়িয়ে যাওয়া সুযোগ। এই টেস্টে আরো একটি ইনিংস ব্যাট করার সম্ভাবনা আছে তার। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে আছেন তামিম ইকবাল।
এদিকে গতকাল ২৯ রানের এই জুটি দিয়েই রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট করেছেন সাকিব-মুশফিক। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি এখন সাকিব-মুশফিক জুটির দখলে। এই কীর্তি গড়ার পথে তারা পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস জুটিকে। ৫৮ ইনিংস মিলিয়ে সাকিব-মুশফিক জুটির মোট রান দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৪। তাদের সর্বোচ্চ জুটিটি ৩৫৯ রানের। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এই জুটি গড়েছিলেন তারা। তাদের জুটির গড় রান ৪২.৩১। এ ছাড়াও সাকিব ও মুশফিক জুটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে চারবার। তাদের জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি এসেছে সব মিলিয়ে ১৬ বার। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল জুটির দখলে। সেই জুটিও সমান ৫৮ ইনিংস ব্যাটিং করেছে। তাদের জুটির মোট রান ২ হাজার ৪৩৩। সর্বোচ্চ জুটি ৩১২ রানের। তামিম-ইমরুল জুটির গড় রান ৪৩.৪৪, সেঞ্চুরির জুটি আছে চারটি এবং হাফ সেঞ্চুরির জুটি আছে ১১টি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাবিবুল বাশার-জাভেদ ওমর জুটি। এই দু’জনের জুটিতে ৩২ ইনিংসে এসেছে ১ হাজার ৩২১ রান। তাদের সর্বোচ্চ জুটি ১৬৭ রানের এবং গড় ৪১.২৮। তাদের সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির জুটি আছে সমান পাঁচটি করে।