ভ্যাপসা গরমের মধ্যে দিনভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ। গতকাল দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র লোডশেডিং দেখা দেয়। এরমধ্যে টানা ৩-৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিলো না কোনো কোনো এলাকায়। গরমের মধ্যে লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ে সবখানে।
বিশ্ব কলোনি এলাকায় থাকেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন। বৃহস্পতিবার টানা ৪ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তিনি। জসিম পূর্বকোণকে জানান, ঈদুল আজহার পর বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গতকাল পাল্টে গেছে এই দৃশ্য। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা লোডশেডিং বৃদ্ধা মা আর দুই শিশুকে বিপাকে ফেলেছে বেশি।
শুধু পাহাড়তলী বিতরণ বিভাগের অধীন বিশ্ব কলোনি এলাকা নয়, গতকাল বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেখা দেওয়া লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর পাথরঘাটা, স্টেডিয়াম, ষোলশহর, কালুরঘাট, বাকলিয়া, মাদারবাড়ি, আগ্রাবাদ, হালিশহর, খুলশি, রামপুর, নিউমুরিংসহ পিডিবির সব বিতরণ বিভাগের গ্রাহকরাও। ব্যাহত হয় শিল্প কারখানার উৎপাদনও।
পিডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিনে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। তবে চাহিদার বিপরীতে এ দিন বিদ্যুৎ মিলেছে ২৫০ মেগাওয়াট কম। তেলের সংকট, গ্যাসের চাপ না থাকায় চট্টগ্রামে পিডিবির মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও উৎপাদন কমে যায় এ দিন।
সবমিলিয়ে জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় দিনে লোডশেডিং করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। তবে সন্ধ্যায় পিকিং পাওয়ার প্লান্ট চালুর পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ে। এরমধ্যে বৃষ্টি নামায় বিদ্যুতের চাহিদাও কিছুটা কমে আসে। ফলে লোডশেডিং পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।
পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশোক কুমার জানান, কয়লা সংকটের কারণে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো রেশনিং করে চলছে। এ কারণে গত বুধবার থেকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। চট্টগ্রামে দিনের বেলায় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট চালুর পর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। লোডশেডিং কমে আসে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ