চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন কনটেইনার পরিবহনকারী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস ভাসানচর এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আংশিক ডুবে গেছে। এতে জাহাজে থাকা পণ্যবাহী তিনটি কনটেইনার পানিতে পড়ে গেছে। তবে জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের একটি বোটে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজটিতে ৭২টি বক্সে মোট ৯৬ টিইইউস পণ্যবাহী কনটেইনার রয়েছে। সাগরের পানির ঢেউয়ে জাহাজটি একপাশে কাত হয়ে যাওয়ায় তিনটি পণ্যবাহী কনটেইনার পানিতে পড়ে ভাসতে দেখা গেছে। এছাড়া জাহাজে থাকা অন্য কনটেইনারগুলোও এলোমেলো হয়ে যায় এবং জাহাজটি কাত অবস্থায় ভাসতে থাকে।
বিয়ারবোর্ড চার্টার্ড চুক্তিতে বন্দরের জাহাজটি সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। জাহাজটি হালকা হলে ডকে মেরামতের জন্য নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কা-ারী-১১সহ ভাড়া করা একটি টাগ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড জানায়, ভোর চারটায় জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিল। তখন সমুদ্রবন্দরের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক সংকেত ছিল না। বেলা ১১টায় জাহাজটি বৈরী আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। এ সময় সাগরে প্রচণ্ড রোলিং (উত্তাল) ছিল। বিকেল ৩টার দিকে জাহাজটি গ্রাউন্ডিং (মাটিতে আটকে যাওয়া) হয়। এ সময় কিছু কনটেইনার সাগরে ভেসে যায়। এসএপিএল-১, কা-ারী-১০ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি টো (টেনে আনা) করার জন্য আরেকটি জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে যাওয়ার পথে পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজটি আংশিক ডুবে গেছে। তিনটি কনটেইনার ভাসছে। নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/এসি