সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইজারা নিয়ে যে কথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত হচ্ছে তা ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
সোমবার (২৬ জুন) রাতে এক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলব, এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি এবং সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ নেওয়ার বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় আমরা কখনো যুক্ত হইনি।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ও নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নানা বক্তব্য ও পদক্ষেপের পর ১৪ দলে আওয়ামী লীগের জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সম্প্রতি জাতীয় সংসদে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপ চায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়।
এরপর গত সপ্তাহে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও যদি বলি যে, না, ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নাই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। ২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি তো এটুকু বলতে পারি যে, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা। আমার হাত থেকে এদেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ বক্তব্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে করা প্রশ্নে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দিই। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতাসহ গণতন্ত্রের জন্য একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই।’
পূর্বকোণ/পিআর