
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইফতারের আগ মুহূর্তে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ফৌজদারহাট জলিল গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৯ মার্চ) থানায় একটি মামলা দায়ের শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর তুলাতলী গ্রামের মো. রফিকের ছেলে মো. তৈয়ব (২৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার টিয়ারা গ্রামের মো. জয়দুল হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (৩২)।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সবাই যখন ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সে সময় মহাসড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকার সুযোগে ১৩-১৪ জনের একটি ডাকাত দল প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী জলিল গেইট এলাকায়। এরপর তারা ঢাকামুখী একটি বাসের গতিরোধ করে চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার চেষ্টা করছিল।
গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ কাছাকাছি থাকা এসআই মোহাম্মদ সোহেল, এএসআই মোমিনুল ইসলাম, এএসআই জমির উদ্দিনকে সেখানে পাঠান। তারা ডাকাতদের ধাওয়া করলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এতে এসআই সোহেল পড়ে গিয়ে শরীরে গুরুতর আঘাত পেলেও ঘটনাস্থল থেকে তৈয়ব নামক এক ডাকাতকে একনলা বন্দুক ও কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ধারালো ছোরাও। পরে তৈয়বকে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গল সলিমপুরে আত্মগোপনে থাকা অপর এক ডাকাত রাসেলকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মানুষ যখন ইফতারের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত তখন এই ডাকাত দল মহাসড়ক ফাঁকা থাকার সুযোগে গাড়ি চালককে অস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ডাকাতদের ধাওয়া করি। ডাকাত ধরার সময় পড়ে গিয়ে পুলিশ সদস্য সোহেল গুরুতর আহত হলেও তাকে ছাড়েনি। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতকে সাথে নিয়ে জঙ্গল সলিমপুরে অভিযান চালিয়ে আরও এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরকে বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ