চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার দেলোয়ার উপজেলার বাড়ককুণ্ডের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টায় উপজেলার দক্ষিণ সোনায়ছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি সীতাকুণ্ড থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্বামী পুলিশের কাছে আটক হয়ে জেলে যায়। এ কারণে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ি মুরাদপুরে চলে যায়। গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি খবর পান- তার বাসায় ঢুকে মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং জিনিসপত্র সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পরে তিনি দেখেন দুর্বৃত্তরা তার ঘর থেকে দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এসব মালামাল আনতে তিনি তার ভাগিনা ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেসহ রাত সোয়া ১২টায় ঘর থেকে বের হয়। পথে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার ওপর দুর্বৃত্তরা তার ভাগিনা ও ভাইপোকে মারধর করে রেল লাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ছবি মোবাইলে ধারণ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় তাদের কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের বড় ভাই ঘটনাটি জেনে তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ৪ জনকে এজাহারনামীয় ও একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় র্যাব ২৯ জুলাই বাড়ককুণ্ড মিজিপাড়া এলাকা থেকে মো. সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ ওরফে মোস্তফা জাহেদকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, এ মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি সোনায়ছড়ি এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবর আসে। খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গনধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মারামারি, চুরি ও সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ