চট্টগ্রাম শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

একই জায়গায় দুটি ব্রিজেও কমেনি দুর্ভোগ

একই জায়গায় দুটি ব্রিজেও কমেনি দুর্ভোগ

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় টু ডরমিটরি সংযোগকারী ব্রিজটি পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একই জায়গায় দুটি ব্রিজ হলেও মিলছে না কোনো সমাধান। বর্ষা মৌসুমে হ্রদের পানি বাড়লে পাকা ব্রিজ পানির নিচে চলে যায়। কাঠের ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর কাঠের ব্রিজটি মেরামতের খরচ লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের টাকা বছরে বছরে অপচয় হচ্ছে। স্থায়ী পাকা ব্রিজেই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে ডরমিটরি পর্যন্ত প্রায় ৬০ মিটারে একটি কাঠের ব্রিজ। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শত শত শিক্ষার্থী পারাপার হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। নিচের দিকে অনেকগুলো কাঠের খণ্ড ভেঙে পড়েছে।

 

এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ওমর ফারুক জানান, কাঠের ব্রিজ হলে প্রতি বছর ঠিক করতে হয়। এজন্য এসময়ে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করলে একেবারে স্থায়ী সমাধান হবে। বিগত সময়ে পাকা ব্রিজটি নির্মাণে ভুল পরিকল্পনা ছিল। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে ব্রিজটি পানির নিচে তলিয়ে যায় সে ধারণা তাদের জানা ছিল না। এজন্য এক জায়গায় দুটি ব্রিজ হলেও পারাপারে দুর্ভোগ রয়ে গেছে।

 

এ বিষয়ে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, মান, ডরমিটরি টু বিলাইছড়ি স্কুল সংযোগকারী এই ব্রিজ বিলাইছড়ির চর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ। এ ব্রিজ হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। দুর্বল ব্রিজের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এর এই বিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, উপজেলা বরাদ্দ দিয়ে করলে বছরে অর্ধেক বরাদ্দ সেখানে লাগতে পারে। বাকি উন্নয়ন কী দিয়ে করবো। এজন্য ব্রিজটি নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ নতুবা উন্নয়ন বোর্ডের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, প্রজেক্টে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, পূর্ণাঙ্গ পাশ হলে তখন হবে। টাকা বরাদ্দ আসলে করে দেওয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট