
কক্সবাজারের সদর থানাধীন পি.এম.খালী এলাকায় চাঞ্চল্যকর শরীফ প্রকাশ ধলু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও মূল হোতা আব্দুল করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।এসময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন, মানিব্যাগ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আব্দুল করিম পি.এম.খালী, উত্তর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর)রাতে পটুয়াখালীর সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৫ এর কর্মকর্তা আ. ম. ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় অস্ত্র আইনের মামলাসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে বিবাদী ফয়সাল ও সাবেকুন্নাহারের সাথে নিহত মো. শরীফের বিবাদ হয়। এই শত্রুতার জের ধরে গত (৩০ নভেম্বর)রবিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পি.এম.খালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর নয়াপাড়া এলাকায় শরীফের বসতভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে। সেখানে ১নং আসামি আব্দুল করিম অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল দিয়ে শরীফকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রকাশিত হয়। ঘটনার পর গত (২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার নিহত শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা সুকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। এই মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে তোলে।
পূর্বকোণ/এএইচসি