
কক্সবাজারের মহেশখালী সোনাদিয়ায় অবশেষে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা কটেজ, রিসোর্ট ও বিভিন্ন স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে নিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রচারনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সোনাদিয়ায় কিছু অসাধু পর্যটন ব্যবসায়ী হোটেল-কটেজ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। বালিয়াড়ি ভেঙে করা হয়েছে সমতল। পোড়ানো হয়েছে কেয়া-নিশিন্দার বন, কাটা হচ্ছে ঝাউ-প্যারাবন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধি মিলে এসব কটেজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
পরিবেশবিদদের মতে, প্রায় ১৭০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সোনাদিয়াকে পথ হিসেবে ব্যবহার করে এবং দ্বীপটিতে প্রায় ২৫০ প্রজাতির মাছ ও ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। অবৈধ পর্যটন কার্যক্রমের কারণে এই জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, “মহেশখালীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি কিছুদিন হচ্ছে, তবে আমার কাছে তথ্য রয়েছে সোনাদিয়ায় সরকারি জমি দখল করে কটেজ নির্মাণ এবং প্যারাবন কাটা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এইসব স্থাপনা সরিয়ে না নিলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পূর্বকোণ/পারভেজ