চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

মনোনয়নের খবর শুনে উচ্ছ্বাস, কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতার মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মহেশখালী

৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:৫৮ অপরাহ্ণ

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরও ৩৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এতে পূর্বে স্থগিত থাকা কক্সবাজার–২ আসনের প্রার্থীতাও চূড়ান্ত তালিকায় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদের নাম ঘোষণায় করেন।

(মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদের নাম নিশ্চিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ফরিদুল আলম ফরিদের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, ফরিদ খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই চরম উচ্ছ্বাসে প্রতিক্রিয়া দেখান। মুহূর্তেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তারা।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন- বিএনপি নেতা ফরিদ কয়েকমাস ধরে বিষণ অসুস্থ হয়ে জীবনে মরণ সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে-বাসায় কাতারাচ্ছেন।

জানা গেছে- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা ফরিদকে আলমগীর ফরিদের নমিনেশন নিশ্চিত হওয়ার খবরটি জানান। তাদের কথায়, অসুস্থ ফরিদ হঠাৎ নমিশনের খবর শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে তখন চিৎকার করে ওঠেন, উল্লাসে লাফ দেন, আর ঠিক সেই সময়ই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরিবার ও দলীয় সহকর্মীরা দ্রুত তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাতে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, ফরিদ ছিলেন সংগঠনের নিবেদিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে আলমগীর ফরিদের প্রার্থীতা নিয়ে তিনি বেশ উৎসাহী ছিলেন। তবে অসুস্থতার চাপের মধ্যে মনোনয়নের খবর শুনে তিনি খুশিতে স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন।

মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা মরদেহ দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন। তারা বলছেন, ফরিদের মৃত্যু শুধু পরিবার নয়, ইউনিয়ন বিএনপিরও এক বড় ক্ষতি।

পূর্বকোণ/হোবাইব/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট