
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযানে যাওয়ার সময় যৌথবাহিনীর সাথে শ্রমিক ও স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে স্কেভেটর বহনকারী ট্রাক। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে আট শ্রমিককে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে ফাইতংয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মানিকপুর সড়কের বাদশারটেকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান উল ইসলাম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো. জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধা দেন। ব্যারিকেড ভেঙে যৌথবাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস বলেন, ইটভাটা উচ্ছেদে যাবার পথে শ্রমিকরা অভিযান টিমকে বাঁধা দেন। তারা সড়ক অবরোধ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এসময় শ্রমিকদের নিক্ষেপ করা ইট পাটকেলের আঘাতে যৌথবাহিনীর দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
ফাইতংয়ের ইটভাটা মালিক মাস্টার খাইরুল ইসলাম ও দিদারুল ইসলাম বলেন, ইতোপূর্বে ইটভাটা মালিকপক্ষের দায়ের করা দুটি রিটের প্রেক্ষিতে পরিবেশ দুষণ হয় না এমন জায়গা শনাক্ত করে ইটভাটা পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনকে ছয়মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ইটভাটা মালিকরা জেলাপ্রশাসকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেও তিন মাসে কোন সুরাহা হয়নি। বিষয়টি সুরাহা না করে ইটভাটা উচ্ছেদের নামে মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তিনমাস সময় চেয়েছি। এরমধ্যে ইটভাটা সরিয়ে না নিলে প্রশাসনের যেকোনো পদক্ষেপ আমরা মেনে নেব।
পূর্বকোণ/জাহেদ/কেএইচ