বোয়ালখালীতে আগাম বেগুন, শিম, ফুলকপির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। চলতি বছরের ভাদ্র মাসে ২০ শতক উঁচু জমিতে বেগুন চাষ করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক মো. জামাল উদ্দিন। আগস্ট মাসের শুরুতে জমি প্রস্তুত করে বেগুন চারা রোপণ করেন। রোপণের দুইমাস পর ক্ষেত থেকে বেগুন বিক্রি শুরু করেছেন। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে কেজি ৭০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করে ১২ হাজার টাকা আয় করেছেন।

জামাল জানান, ২০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। ৬ মাস ধরে ফলন পাওয়া যাবে। সপ্তাহে দুইদিন তিনি ফলন সংগ্রহের পর বাজারে বিক্রি করছেন। তবে বেগুন ক্ষেতে পোকা দমন ও রোগবালাই নাশক এবং সার প্রয়োগের মাধ্যমে পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে জানিয়ে বলেন, দিনদিন বেগুনের দাম বাজারে কমতে থাকবে। শুরুতে ১০০ টাকা, এরপর ৭০ টাকা এবং ৫০ টাকা কেজি দরে দাম পাওয়া যাবে। রমজান মাসে আবারও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছরই জামাল আগাম বেগুনসহ শাক সবজির চাষ করেন।

গতকাল শুক্রবার তার ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, আগাম বেগুন ও শিম লাগিয়েছেন জমিতে। শিমের ফুলে ছেয়ে গেছে মাচা। কয়েকদিন পর তাতে থোকায় থোকায় শিম আসবে। সরিষা চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন ৬০ শতক জমি। জামাল বলেন, শুরুতে বাজারে শিমের ভালো দাম থাকে। তাই আগাম চাষ করেছি নিজস্ব জমিতে। সরিষার চাষের জন্য জমি তৈরি করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বোয়ালখালীতে প্রায় ১০ একর জমিতে আগাম বেগুন চাষ হয়েছে, এছাড়া ৮ একর জমিতে ফুলকপি এবং শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের সবজির আবাদ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিবু কান্তি নাথ বলেন, উপজেলার করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, শ্রীপুর খরণদ্বীপ, সারোয়াতলীতে আগাম সবজির চাষ হয়। আগাম সবজি উৎপাদন করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

পূর্বকোণ/ইবনুর