চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্র অপহরণ
আমিরুল ইসলাম ইলহাম (১৩)

কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্র অপহরণ

পাঁচ ঘণ্টা পর নিজ কৌশলে মুক্ত

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৫৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাকে আটকে রাখার ৫ ঘণ্টা পর কৌশলে অপহরণকারীর চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় অপহৃত স্কুল ছাত্র। 

 

শনিবার সকালে বাকলিয়া এক্সেস সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

অপহরণের শিকার আমিরুল ইসলাম ইলহাম (১৩) দৈনিক যুগান্তরের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি এবং সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবুর পুত্র। ইলহাম চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

 

অপহৃতের বাবা সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু জানান, ইলহাম সকাল সাড়ে আটটায় কোচিং সেন্টারে যেতে ঘর থেকে বের হয়। সে বাকলিয়া এক্সেস সড়কের সামনে থেকে একটি টমটমে উঠলে টমটমটি কিছুদূর যাওয়ার পর চালকের সহায়তায় ভেতরে থাকা মধ্যবয়সী অপহরণকারী ইলহামের চোখ-মুখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। দুপুর দেড়টার সময় অপহরণকারীরা তাকে একটি বিকাশের দোকানে নিয়ে যায়। পরে তারা ইলহামকে অপহরণের কথা জানিয়ে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। অপহরণকারীদের কথার ফাঁকে ঐ দোকানে আরো দুজন ক্রেতা আসলে ইলহাম তাদেরকে জানায় তাকে এই দুজন অপহরণ করেছে। একথা শুনে ঐ লোকেরা অপহরণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এই সুযোগ ইলহাম অন্য একটি সিএনজি টেক্সি নিয়ে বাসায় পালিয়ে আসে।

 

 অপহরণ চেষ্টার এই ঘটনার পর থেকে ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু আরো জানান, প্রশাসনের প্রতি আমার একটাই দাবি- যারা এই অপহরণ চেষ্টার সাথে জড়িত তাদের যেন সহসায় চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়। 

 

তিনি বিষয়টি বাকলিয়া থানার ওসিকে জানালে তিনি  থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল কাদেরকে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠান।

 

আবদুল কাদের জানান, তিনি অপহরণের চেষ্টার শিকার হওয়া ওই ছাত্রের বাসায় গিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর অপহরণকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

 

পূর্বকোণ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট