
টানা অবরোধ ও সহিংসতায় বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতার পথে। জেলা সদর ও গুইমারায় সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর পাহাড়ি এবং বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও জনজীবনে স্বস্তি ও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। যদিও ১৪৪ ধারা এখনো বহাল, এর প্রভাব ক্রমশ কমছে। জেলা সদরে আতঙ্ক কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। চলছে দূরপাল্লার বাসও।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসান জানান, অবরোধ, মিছিল-মিটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে শহরে জনজীবন শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-ফেনীসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী কোচগুলো আসা যাওয়া করছে। সাজেকে গত ২ দিনে চল্লিশটি পর্যটকবাহী পিকআপ গাড়ি গেছে। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আরিফ পর্যটকবাহী পিকআপ যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতা শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রশাসন তাদের দেওয়া দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে। ফলে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে এক মারমা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আহুত অবরোধকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে শতাধিক লোক আহত এবং বহু বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পূর্বকোণ/জহুর/এএইচ