
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর পেশকারপাড়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার ঘটনায় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ও ব্যবসায়ীসহ অন্তত ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন কক্সবাজার নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা এবং হাইকোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পেশকারপাড়ার বাসিন্দা খালেক, শহীদুল ইসলাম, সিআইপি আতিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর হুমাইরা বেগম, ব্যবসায়ী মো. জাকির ও সিরাজুল মোস্তফা আহমেদসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নদীর উত্তর পেশকারপাড়া জামে মসজিদের পাশে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩৫০-৪০০ জন নারী-পুরুষকে জড়ো করা হয়। তারা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অভিযানকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি মই ভেঙে ফেলা হয়।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিক্ষোভের মুখেও চলছে উচ্ছেদ অভিযান :
এদিকে, বুধবারের হামলার পরও বাঁকখালী নদীর দখলমুক্তকরণ অভিযান বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে নদীর তীরে বসবাসকারী বাসিন্দারা বিক্ষোভ করলেও উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়নি। সকাল ১০টা থেকে নদীর কস্তুরাঘাটের বদর মোকাম এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ও বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও প্রশাসন সেগুলো সরিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায়।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন শাখা) কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, বাধার মুখে গতকাল উত্তর পেশকারপাড়ার উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হলেও আজ সকাল থেকে বদর মোকাম এলাকায় অভিযান চলছে। তিনি জানান, প্রথম দুই দিনের অভিযানে ৩৪৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ৫৬ একর ভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শহরের নুনিয়াছড়া থেকে খুরুশকুল সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকার সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ