
লোহাগাড়ায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নে মনুফকির বাজার হতে বায়তুশ শরফ সড়কের মহাবোধি বিহার সংলগ্ন খালে নির্মাণাধীন ব্রিজে এই ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী ও আশেপাশের এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার (১ লা সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রিজের সংযোগ সড়কে উভয় পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করলে ব্রিজটির পশ্চিম পাশে ফাটল দেখা দেয়।
জানা যায়,২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রক্কলিত মূল্য ৩৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫১ টাকা ব্যয়ে ৯ দশমিক ১৫ মিটার দৈর্ঘের এই ব্রিজটি নির্মাণ করছিলে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তা তদারককির দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ’নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। অনেক আগে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা থাকলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নানা ধরনের নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। পরিমাণ মতো সিমেন্ট কংক্রিট ও বালু না দিয়ে কোনো মতে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ শেষ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লোহাগাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কেউ নির্মাণ কাজ তদারকি করেননি।
মেসার্স চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালিক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, “কাজটি আমি পেয়েছিলাম কিন্তু আমি জসিম উদ্দিন মেম্বারকে দিয়ে দিয়েছি। তিনিই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ করছেন। কোন সমস্যা হলে তিনি সমাধান করবেন।”
তাদারকির দায়িত্বে থাকা মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, “ব্রিজটিতে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এটি মূল ব্রিজে নয়। প্রয়োজনে এটি ঠিক করে দিবো।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, কালভার্ট নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
লোহাগাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নাহিদ আহমেদ জাকির বলেন, শুনেছি বড়হাতিয়া এলাকায় একটি ব্রিজ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ