চট্টগ্রাম সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

মহেশখালীতে চিংড়িঘেরে ডাকাতির অভিযোগ, মাছ ও মালামাল লুট
ফাইল ছবি

এক শ্রমিক আহত

মহেশখালীতে চিংড়িঘেরে ডাকাতির অভিযোগ, মাছ ও মালামাল লুট

মহেশখালী সংবাদদাতা

২৪ আগস্ট, ২০২৫ | ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরা ঘোনা ও নোনাছড়ি এলাকায় শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পারিবারিক চিংড়িঘেরে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র দল হঠাৎ চিংড়িঘের এলাকায় প্রবেশ করে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ডাকাতরা অন্তত ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং ঘেরকর্মীদের মারধর করে। এ সময় শ্রমিক নাগু গুরুতর আহত হন।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও শহীদ তানভীরের বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতব্বর অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে তারা আমাদের শ্রমিক নাগুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, পরে হাত-পা বেঁধে মারধর করে ফেলে রাখে। এরপর একে একে মাছ, জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়।

 

ঘেরকর্মচারীরা জানান, ডাকাতদল অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মাছ ও সরঞ্জাম লুট করেছে। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে অনেক শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায়। এতে নাগু একা পড়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

 

পার্শ্ববর্তী অন্যান্য চিংড়িঘের মালিকরা বলেন, সম্প্রতি এলাকায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী–ডাকাত দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সবসময় আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি হতে অনীহা প্রকাশ করে। পাহাড়ে অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ তাদের।

 

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর হক বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

 

স্থানীয় ঘের মালিকরা জানিয়েছেন, কালারমারছড়া পাহাড়ে আশ্রিত সন্ত্রাসী ও পলাতক নেতাদের কারণে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে। তাঁরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

 

পূর্বকোণ/হুবাইব/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট