
খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)’র অন্যতম সদস্য কংচাইঞোর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল।
নিরাপত্তা বাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার ভোরে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনের মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে মগ লিবারেশন পার্টির একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে ২ (দুই)টি অস্ত্র্র ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাৎক্ষণিকভাবে মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)’র শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাইঞো মারমাকে আটক করার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কর্ডন এন্ড সার্চ অপারেশন শুরু করার সাথে সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাইঞো মারমা একটি ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে ১ রাউন্ড ফায়ার করে। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা ফায়ার করে। কংচাইঞো মারমা পালানোর কোন পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ছাদ থেকে লাফ দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী কংচাইঞো মারমার কাছ থেকে ১টি ৯ মি. মি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপা ত্রিপুরা পরীক্ষা করে কংচাইঞোকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে , ভয়ে ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী আরো জানায় , নিহত কংচাইঞো মারমা ও আটককৃত ইসমাইল হোসেন চলতি বছরের গত ১৯ এপ্রিল জেলার মানিকছড়ির ছদুরখীল এলাকার রবি মোবাইল টাওয়ার মেরামত কাজে নিয়োজিত দুই টেনশিয়ান অপহরণের সাথে জড়িত।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, কংচাইঞো মারমা (৩১) মহালছড়ির গড়িয়াছড়ির অংগ্যজাই মারমার ছেলে। সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে গুরতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কংচাইঞো মারমা মগ লিবারেশন পার্টির সিন্দুকছড়ির সদস্য। তিনি জেলা শহরের শান্তিনগরে স্বপরিবারের ভাড়া বাসায় থাকতেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জহুর/পারভেজ