
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আন্দারমানিক সত্তা খালে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সরকারিভাবে খালে মাত্র একটি ইজারাকৃত বালুমহল রয়েছে, যা ধর্মপুর কমিটিহাট বাজার এলাকায়। কিন্তু বাস্তবে খালের বিভিন্ন স্থানে একাধিক চক্র বছরের পর বছর ধরে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এমনই একটি অভিযান প্রায় এক মাস আগে খিরাম সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা পরিচালনা করে। তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জব্দকৃত মেশিনটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ধর্মপুর ও খিরাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বালু উত্তোলন নিয়ে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মানুষ আতঙ্কিত, তবে অভিযোগ, প্রশাসন কার্যকরভাবে প্রতিরোধে সক্ষম হয়নি।
একজন স্থানীয় কৃষকের প্রশ্ন, একটি চক্র এলাকার সব খাল নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। প্রশাসন কি সত্যিই এতটাই অসহায়?
সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে এবং অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা রয়েছে, অভিযান হলেও সিন্ডিকেটের গা ঢাকা দেওয়া সহজ, তাই এটি একটি ধারাবাহিক ও সতর্ক পর্যবেক্ষণ ছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।
অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে খাল পলিথিন ও বালি দিয়ে ভরে যাচ্ছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা ও পরিবেশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। অনেকেই বলছেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইয়ের মতো, প্রশাসনের পদক্ষেপও একেবারেই সীমিত।
স্থানীয়দের এই আক্ষেপের মধ্যেই সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে একবারের জন্য হলেও কিছুটা শান্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করলে ভবিষ্যতে এলাকায় শান্তি ও নিয়মিত বালু উত্তোলন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
পূর্বকোণ/মুন্না/জেইউ