
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদী থেকে অপহৃত পাঁচ বাংলাদেশি জেলে এখনও মুক্ত হয়নি। মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে আটক এ জেলেদের পরিবারে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নাফ নদীর মোহনা এলাকায় মাছ শিকার করছিলেন তারা। এ সময় স্পিডবোটে করে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাঁচ জেলেকে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়।
অপহৃতরা হলেন—টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের জালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইলিয়াস, তার দুই ছেলে আক্কেল আলী ও নূর হোসেন, একই এলাকার সাবের হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।
অপহৃত ইলিয়াসের ছেলে হাফেজ উল্লাহ বলেন, আমার বাবা ও দুই ভাই জীবিকার তাগিদে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছেন। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রুত তাদের ফেরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আয়ুব জানান, অপহৃতদের পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যদের বন্দী হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় রয়েছে। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে নাফ নদীতে মাছ ধরা এখন ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায়ই সীমান্ত অতিক্রম করে বিদ্রোহীরা জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, গত ৮ মাসে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ২৫১ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অপহৃত হয়েছেন ১৭৬ জন। বিজিবির সহায়তায় এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন ফেরত এলেও বাকি সবাই এখনও নিখোঁজ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নাফ নদীর মোহনার নাইক্যং ডিয়ার কাছাকাছি থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের ফেরাতে উদ্যোগ চলছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ