চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে ফিশিং বোটে ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম, বাঁশখালীতে মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০২৫ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড ও সেনাবাহিনী।

 

সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টায় শেখেরখীল এলাকার একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

 

আটককৃতরা হলো- বরগুনার অমল চন্দ্র (৪৫), মোংলার নাথন বিশ্বাস (৬০), সাতক্ষীরা জেলার আকাশ বিশ্বাস (৩৫) ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পণ্ডিত বিশ্বাস (৩৮)। আটক ভারতীয় নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গোডাউনের মালিক মান্নান মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার একটি ভারতীয় পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার একটি গোডাউনে ফিশিং বোটের নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং সরঞ্জাম’ তৈরির কাজ চলছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে যৌথ অভিযান চালানো হয়। গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল তৈরির সময় প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি অবৈধ ট্রলিং জাল, ৩৪ পিস ইয়াবা, ১০ গ্রাম গাঁজা ও নগদ ৭৩ হাজার ২৩০ টাকাসহ তিনজন বাংলাদেশি কারিগর এবং নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক পণ্ডিত বিশ্বাস বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবৎ ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং’ সরঞ্জাম স্থাপন করে আসছিল। ওই ব্যক্তি গত ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশে যাতায়াত করতো। সর্বশেষ গত ২ মে পুনঃরায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রথমে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় এবং পরবর্তীতে গত ২৫ জুলাই হতে বাঁশখালীতে বিভিন্ন ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ করছে। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, কাঠের তৈরি ফিশিং বোটে অবৈধভাবে ট্রলিং সরঞ্জাম ও ছোট ফাঁসের ‘বেহুন্দি জাল’ স্থাপন করে যান্ত্রিক ‘ট্রলিং ট্রলারে’ রূপান্তর করা হয়। যার ফলে প্রবাল, সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য শূন্যতার আশঙ্কা তৈরি করছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট