চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

শঙ্খ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব
শঙ্খ নদ থেকে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

শঙ্খ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব

চন্দনাইশ সংবাদদাতা 

১১ আগস্ট, ২০২৫ | ৯:৪৪ অপরাহ্ণ

উপজেলার দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি চেমির মুখ সংলগ্ন শঙ্খ নদ থেকে রাত-দিন স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনের পর ডাম্পারে করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা। প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব।

 

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ দিন ধরে শঙ্খ নদের চেমির মুখ বড়ুয়া পাড়া এলাকায় দিন-রাত ২টি স্কেভেটর দিয়ে নদীতে জেগে উঠা চরের বালু কেটে ডাম্পারে করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যূরা। সাবেক একজন ইউপি সদস্যসহ বান্দরবান বালাঘাট এলাকার জনৈক নাজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে ১টি রাজনৈতিক দলের প্রভাব কাটিয়ে গত ৩ দিন ধরে শঙ্খ নদে জেগে উঠা চরের বালু ২টি স্কেভেটর দিয়ে উত্তোলন করছে। এরপর ২০টির অধিক ডাম্পার ট্রাকে করে বালুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বান্দরবান বালাঘাটা উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বান্দরবান বালাঘাটা স্বর্ণ মন্দির এলাকায় উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। সে উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভরাটের কাজ চলছে। দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার দূর থেকে চন্দনাইশের ধোপাছড়ি চেমির মুখ সংলগ্ন শঙ্খ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে অবাধে নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ। ইজারা বিহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চক্রটি সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার পাশাপাশি নিজেরা লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছে। নদী ভাঙনের হুমমিতে পড়েছে চেমির মুখ বড়ুয়া পাড়া এলাকা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কি এক অজানা কারণে স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে তাকে ইতিপূর্বে কেউ অবহিত করেননি। তিনি গতকাল ১১ আগস্ট বিষয়টি জেনে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছেন। তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

 

পূর্বকোণ/দেলোয়ার/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট