
চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসদরে চিরকুট লিখে মেহেদী হাসান হৃদয় (১৯) নামে এক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নঈম সওদাগরের বাড়ির ঢালারমুখ এলাকার একটি গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হৃদয় স্থানীয় আবদুর রহিমের ছেলে। আবদুর রহিম শহরে চায়ের দোকান চালায়। হৃদয় দুইবছর আগে লেখাপড়া ছেড়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। সে এসএসসি পাসও করেছিলেন। পরিবারে তিনি সন্তানের মধ্যে হৃদয় বড় সন্তান।
স্থানীয় সমাজসেবক ও সমাজের সর্দার কামাল ড্রাইভার জানান, গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে হৃদয় বাড়ি থেকে বের হয়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির পর রহমতপাড়ায় একটি বিয়েতে যাওয়ার কথা বলে যান। মা ইয়াছমিন আকতার তাকে দ্রুত ফিরে আসতে বলেন। কিন্তু রাতভর সে আর বাড়ি ফেরেনি। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে হৃদয়কে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। এরপর তার শোবার রুমে গেলে বালিশের ওপর একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল—‘আমি ফাঁসি খাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মা, বাবা ও এলাকাবাসী সুখে থাকিও।’
এরপর পরিবার ও বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় দুইশ গজ দূরে একটি গাছে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান স্থানীয়রা।
রাউজান থানা পুলিশ খবর পেয়ে সুরতহালশেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর কাছে হৃদয় ছিলেন সবার প্রিয় ছেলে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হৃদয় নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত মনে হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে লাশটি ময়নাতন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পূর্বকোণ/পিআর