
গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশনরোড এলাকায় ট্রাভেল ব্যাগে থাকা মস্তকবিহীন আট টুকরা লাশটির মাথাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। পাওয়া গেছে নিহতের পরিচয়ও।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে টঙ্গী বনমালা রোড এলাকায় একটি বাসার টয়লেটের ওপরের কুঠুরি থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো লাশের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মহিউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে দুপুরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বাপ্পি ও সাদেক মিয়াকে। বাপ্পিকে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে এবং সাদেককে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যেই খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশনরোড এলাকার হাজীর বিরিয়ানির হোটেলের সামনের রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
কয়েকজন ব্যক্তি ‘কৌতূহলবশত’ ব্যগটি খুলতেই ভেতরে কালো পলিথিনে মোড়ানো মানবদেহের খণ্ডিত অংশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশের আটটি টুকরা উদ্ধার করে। তবে তখন নিহতের মাথাটি পাওয়া যায়। পরে পিবিআইয়ের মাধ্যমে হাতের ছাপ থেকে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
জানা যায়, নিহত ব্যক্তি নরসিংদী সদর থানার করিমপুর এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. অলি মিয়া (৩৬)। তিনি আজমেরি পরিবহনের হেলপার হিসাবে ও বিভিন্ন সময় হকারের কাজও করতেন।
উপ-কমিশনার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিহত অলির বিরুদ্ধে মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাদকের ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারে। কী কারণে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বা হত্যায় কারা জড়িত আছেন সে বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলমান আছে। সূত্র:বিডিনিউজ।
পূর্বকোণ/পিআর