
মেয়ে গরীব পরিবারের বলে ছেলে পক্ষ মেনে নিতে নারাজ হওয়ায় ৯৯৯ এ ফোন করে প্রেমিক জুটিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। পরে প্রেমিকা জান্নাত আরা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা রুজু করেছে। উক্ত মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক হামিছকে বৃহষ্পতিবার ৭ আগস্ট কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী গ্রামের জালাল আহমদের পুত্র হামিছ (২২) দীর্ঘ দিন ধরে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার জেবর মুল্লুকের মেয়ে জান্নাত আরার (১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের সম্পর্ক অনেক আগের। গত ৫ আগস্ট ভাবীর সঙ্গে শপিং করতে সকাল ১১টায় হ্নীলা স্টেশনে আসলে হামিছ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জান্নাত আরাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। ওই যুগল প্রেমিক-প্রেমিকা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর পর খবর মেলে কক্সবাজারে একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে রয়েছে।
হামিছের পরিবার খবর পেয়ে কক্সবাজার থেকে ৬ আগস্ট গভীর রাতে তাদের দু’জনকে হ্নীলা রঙ্গিখালীর উলুচামরীতে নিয়ে আসে। হামিছ জান্নাত আরাকে বিয়ে করতে শতভাগ রাজি। তবে জান্নাত আরা গরীব ঘরের মেয়ে হওয়ায় তা মেনে নিচ্ছে না হামিছের পরিবার। এক পর্যায়ে হামিছ অনড় দেখে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিক জুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে জান্নাত আরাকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়।
জান্নাত আরার মা ফাতেমা বেগম বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উক্ত হামিছ আমার মেয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সম্ভ্রমহানি করেছে। তার উপযুক্ত বিচার চাই। জান্নাত আরার বড় ভাই রবিউল আলম বলেন, আমার বোনকে নষ্ট করার পেছনে হামিছের সহযোগী হিসেবে তার চাচারও প্ররোচনা রয়েছে। তাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পশ্চিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা করিম বলেন, মেয়েটি অসহায় গরীবের ঘরে জন্ম নিয়েছে বিধায় নেতা, পাতি নেতা সবাই ওই হামিছের পক্ষাবলম্বন করছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হিমেল রায় জানান, এ ঘটনায় মেয়ে বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। উক্ত মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক হামিছকে বৃহষ্পতিবার ৭ আগস্ট কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/আরআর