
সাজ সাজ রব ছিল চেচুরিয়ার এস.কে.বি কমিউনিটি সেন্টারে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও চলছিল অতিথি আপ্যায়ন, হাসিমুখে ছবি তোলা আর প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগাভাগি করার উৎসব। এদিন ছিল জসিম উদ্দিন ও রহিমা বেগমের বিবাহোৎসব। কিন্তু এই আনন্দ হঠাৎ থমকে গেল। পরিণত হল কান্না আর রক্তাক্ত আতঙ্কে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বর জসিম উদ্দিনের বড় বোন খালেদা বেগম ও তার স্বামী রশিদ আহমদ প্রায় ১৫-২০ জন লোক নিয়ে বিয়েবাড়িতে এসে উপস্থিত হন। অভিযোগ, ভাই বিদেশ যাওয়ার সময় ছোট বোনের কাছে থেকে পাওয়া স্বর্ণ বিক্রির টাকার ভাগ ফেরত দেননি। সেই পারিবারিক বিরোধের জেরেই নেমে আসে অপ্রত্যাশিত তাণ্ডব।
বর পক্ষের লোকজন তখনও বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় কথা কাটাকাটি, তারপর হাতাহাতি এবং শেষমেশ রীতিমতো হামলা। একদিকে বিয়ের সাজে সজ্জিত কনে, অন্যদিকে রক্তাক্ত বর—চিত্রটা ছিল হৃদয়বিদারক।
এই ঘটনায় আহত হন বর জসিম উদ্দিন, জমির উদ্দিন, ফজল কাদের ও নাসিম আক্তার। তারা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, আমার বড় বোন বিয়ের দিন এমন ঘটনা ঘটিয়ে শুধু আমার নয়, আমার স্ত্রীর, আমার পরিবারের সম্মানকেও ভেঙে দিয়েছে। তারা দুই ভরি স্বর্ণ, এক লাখ টাকা, তিনটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারে যায়। ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দের দিনটা হঠাৎ করেই বিষাদে রূপ নিল—এ যেন জীবনের এক নির্মম নাটক, যে কষ্ট সব পক্ষেরই।
পূর্বকোণ/অভি/জেইউ/পারভেজ