
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিনেমা কায়দায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হল শফি ডাকাতকে। খুন, ডাকাতি, অস্ত্রসহ ২১টি মামলার পলাতক এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর কাছ থেকে মিলল মিনি আর্মারির মতো অস্ত্রভাণ্ডার—গ্রেনেড, মাইন, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং মাদক।
সোমবার গভীর রাতে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প–২৬–এর পাশের হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ে এই অভিযান চালায় র্যাব–১৫। উপস্থিতি টের পেয়ে শফির সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪–৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পাল্টা গুলিতে র্যাবও আত্মরক্ষা করে। অবশেষে ধাওয়া করে ধরা হয় শফিকে।
র্যাব সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার শফি ডাকাত (২৮) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্প এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল শফি। স্থানীয় রোহিঙ্গা ও বাঙালি জনগণের কাছে ছিল আতঙ্কের নাম।
অভিযানে শফির আস্তানা থেকে উদ্ধার হয়েছে—একটি ওয়ান শুটার গান, দুটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০ রাউন্ড তাজা রাইফেল গুলি, ৫৩টি খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং তিনটি গ্রেনেড।
র্যাব–১৫–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, শফির বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, অস্ত্র, মারামারি—সব মিলিয়ে ২১টি মামলা রয়েছে। এক মাস ধরে নজরদারি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে।
এই ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে র্যাবের পেশাদারিত্ব ও কৌশল প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গ্রেপ্তার শফিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, শফির বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলবে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ