
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে জমি ও জীবিকা হারানো ৪৪টি পরিবার রবিবার অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
প্রতিশ্রুত ঘর পেলেও চাকরি না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, পুনর্বাসনের নামে দেওয়া হয়েছে ছোট দুটি কক্ষ, কিন্তু কাজ নেই, নেই খাবারের নিশ্চয়তা।
‘পেটে ভাত নেই, চাকরির জন্য অফিসারদের পায়ে ধরেছি,’ — বলছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত খদিজা বেগম। আগে যেখানে নদী, মাছ, লবণ চাষ করে চলতেন, এখন সেখানে শুধু অসহায় জীবন।
বিকেলে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২ নম্বর গেটের সামনে শতাধিক নারী-পুরুষ বৃষ্টির মধ্যেও ঘণ্টাব্যাপী অনশনে অংশ নেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, কর্তৃপক্ষ ঘর দিয়েছে, কিন্তু চাকরি ও জমির দলিল এখনো দেয়নি।
২০১৪ সালে প্রকল্প শুরুর সময় এসব পরিবারকে সরিয়ে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ঘর দেওয়া হলেও চাকরি ও জমি রেজিস্ট্রেশন বাস্তবায়িত হয়নি।
পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেই হাসপাতাল, স্কুল বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ছোট ঘরে ৮-১০ জনের পরিবার গাদাগাদি করে থাকছে। প্রায় ২০০ শিশু ও শতাধিক বেকার পুরুষ রয়েছেন এসব পরিবারে।
জনসুরক্ষা মঞ্চের নেতারা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে জানান, বিষয়টি প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে চাকরির দাবিতে পরিবারগুলোর আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পূর্বকোণ/হুবাইব/জেইউ/পারভেজ