টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার থেকে দুইজনকে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এখন মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার বাহারছড়া মারিশবনিয়ার তৈয়বা বেগমের বসতবাড়ি থেকে দুজন অপহরণের শিকার হন।
অপহরণের শিকার দুজন হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দা নুর কামাল (৫০) ও রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে বেলাল উদ্দিন (১৮)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার বাসিন্দা তৈয়বা বেগমের সঙ্গে নূর কামালের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় তৈয়বার বসতবাড়িতে ঢুকে স্বামী নুর কামাল ও ভাইয়ের ছেলে বেলাল উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তৈয়বা বেগম আমাকে অবগত করলে সঙ্গে সঙ্গে আমি বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহাকে অবহিত করি।
নুর কামালের স্ত্রী তৈয়বা বেগম বলেন, শুক্রবার টেকনাফের হ্নীলার জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দা নুর কামালের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। শনিবার রাতে ৫ জনের একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দাবি করে ৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণ যা আছে সব বের করে দাও। তোমার স্বামী নুর কামালকে অপহরণ করার জন্য আমরা ২০ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। এ কথা বলে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ১৫ হাজার নগদ টাকাসহ আমার স্বামী নুর কামাল এবং ভাইয়ের ছেলে বেলাল উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। ৬ এপ্রিল রবিবার বিকালে আমার মোবাইল নাম্বারে ফোন আসে। স্বামীসহ দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। অন্যথায় লাশ নেওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, অপহরণের বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকেই শুনেছি। তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ