চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন হত্যার ঘটনায় যুবদল ও স্বেচ্চাসেবক দলের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হল- বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ভুলোর ছেলে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বশির (৩৫), মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমতনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), একই ইউনিয়নের পেশকারপাড়া গ্রামের মো. কামালের (চৌকিদার) ছেলে মুরাদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. আরমান শাকিল (৩৫) ও ফকিরহাটস্থ জহুর আহম্মেদের ছেলে মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল (৩৮)। গ্রেপ্তাররা সকলে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত নাছিরের স্ত্রী মোমেনা আক্তার বাদি হয়ে হত্যার ঘটনায় সুনির্দিষ্ট ৮ জন ও অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটার বাসিন্দা নাসির উদ্দীন গরুর ব্যবসা করতেন। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতারের পর মোটরসাইকেল যোগে প্রতিবন্ধী ছেলে নাফিজ উদ্দিনকে নিয়ে শপিং করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এ সময় হাতিলোটা বোচার নতুন বাড়ির সামনে পূর্ব পাশে কালভার্টের উত্তর পাশে রাস্তা অতিক্রম করার সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল থামিয়ে ছেলে নাফিজকে (প্রতিবন্ধী) একটি চকলেট দিয়ে বাড়ির দিকে চলে যেতে বলে। কিন্তু ছেলে বাড়ি না গিয়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো রামদা দিয়ে নাসিরের ডান পাশের গালে ও ঘাড়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে চলে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, নিহত নাসির উদ্দীনের স্ত্রী ৮ জনকে আসামি করে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ