কেইপিজেড সংলগ্ন এলাকা থেকে হাতি নিরসনের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পেলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে টানেল সংযোগ সড়কের কেইপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এসময় সিইউএফএল সড়কের কেইপিজেডের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরবর্তীতে এরাও দৌলতপুর বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগ দেন।

এদিকে অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কেইপিজেডের শ্রমিকসহ এই রোডে চলাচল করা আনোয়ারা, চন্দনাইশ,বাঁশখালী,পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘটনাস্থলে আসেনি।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নুরুল আজিম জানান, গত ২২ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি, কিন্তু তারা আমাদের আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। আমরা যদি হাতি সরানোর বিষয়ে কোনো আশ্বাস পায় তাহলে আমরা অবরোধ তুলে নিবো।

এবিষয়ে বন বিভাগের বাঁশখালী জলদী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, হাতি সরানোর বিষয়ে বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। আর এবিষয়ে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারা হাতিগুলো সরানোর বিষয়ে কোনো সুপারিশ করেনি বরং তারা হাতিগুলো রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২২ মার্চ) হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হলে ওইদিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা আন্দোলনের পর ৪ দিনের সময় নেন প্রশাসন। আজ চার দিন পূর্ণ হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামে স্থানীয়রা।

পূর্বকোণ/পিআর