কক্সবাজারের রামুতে চুরির অপবাদ দিয়ে এক শিশুকে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। পুলিশ নির্যাতনের শিকার শিশু আল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধেছুয়াপালং রাবেতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার আল আমিন ওই এলাকার বাসিন্দা রমিজ আহমদের ছেলে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, আগেরদিন রবিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ১২ বছর বয়সী শিশু আল আমিনকে তুলে নিয়ে যান ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহিম চৌধুরীর ছেলে মাহমুদুল করিম রানা ও তার (রানা) বড় ভাই আল ফুয়াদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এহেছানুল করিম। এরপর বসতবাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে চোখ বেধে শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন চালায় মাহমুদুল করিম রানা, এহেছানুল করিম ও তার পরিবারের আরও একাধিক সদস্য।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ জানিয়েছেন, রবিবার রাতে আল আমিনের পরিবারের লোকজন পুলিশের পরিষেবা ৯৯৯ এ কল করে। পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশুটির পুরো শরীরের রক্তাক্ত আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত মাহমুদুল করিম রানা ও এহেছানুল করিমের ভাই আহমেদুল করিম রুবেল শিশুটিকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি নয়, তার অপর ভাইয়েরা মারধর করেছে।
তিনি আরও জানান, শিশু আল আমিন চলতি রমজান মাসে তাদের বাড়ি থেকে ছাগল, বৈদ্যুতিক পাখা, মার ধরার জালসহ অনেক মালামাল চুরি করেছে। রবিবার রাতে আবারও চুরি করতে গিয়ে সে হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। তবে পরে শিশুটির মা আবারও তাকে মারধর করলে সে বেশি জখমপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, শিশুটিকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়েছে। এখনো শিশুটির পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্বকোণ/নীতিশ/জেইউ/পারভেজ