২০১৮, ২০২০ ও ২০২৪ সালে আত্মসমর্পণ করা ১২৭ জলদস্যুদের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছে র্যাব। এরা সবাই কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী ও এবং পেকুয়া উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবনমানের উপর বিশেষ মতবিনিময় সভায় এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান, উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাদমান সাকিব, মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সরকারি পুলিশ সুপার এ.আর.এমন মোজাফফর হোসেন, বাঁশখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বাশখাঁলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল, সাংবাদিক মীর আকমল হোসেন, আত্মসমর্পণকারী আব্দুল হাকিম বাইশ্যা, আনোয়ার হোসেন, রহিমা বেগম, আব্দুল গফুর ।
বাঁশখালীর জলদস্যু আব্দুল হাকিম বাইশ্যা বলেছেন, র্যাবের সহযোগিতায় সৎ পথে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে আছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যারা আমাকে আলোর পথ দেখিয়েছেন পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জলদুস্যরানী খ্যাত রহিমা বেগম বলেন, অনেক মামলার আসামি হয়েছি, মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, আত্মসমর্পণের পর থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে আত্মসমর্পণকারীদের ঈদের উপহার সামগ্রী ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়। তারই ধারবাহিকতায় আজও ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২৪ সালে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আত্মসমর্পণকৃত ১২৭ জন আলোর অভিযাত্রীদের সুস্থ জীবন যাপনের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, যে কোন অপরাধী, খারাপ পথ থেকে ফিরে আসতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দরজা খোলা আছে। যারা অপরাধ জগতে রয়েছে, হালাল পথে আসতে চায়। সৎ পথে থাকতে হবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। আমি আশা করি, পেকুয়া বাঁশখালী,কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকার অপরাধীরা আলোর পথে ফিরে আসবে।
পূর্বকোণ/ইব