জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে অন্য কোন পার্টির নেতারা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সুতরাং আসুন, সে পরীক্ষিত নেতাদের আরো একটু পরীক্ষা করি। এদেশের দায়িত্বভার তাদের উপর দেওয়ার জন্য মজলুমভাবে আবার দাঁড়িয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এইচটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন বুক চেতিয়ে আবার দাঁড়িয়ে যাব, আবু সাঈদের মত বুক ঝাঁজরা হয়ে যাবে, কিন্তু পিছনে ফিরে তাকাবো না। সুতরাং দলীয় ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এদেশকে আমরা গড়বো। কোনো চোর, ব্যাংক লুটকারী, বেগম পাড়ায় বাড়ি তৈরিতে টাকা পাচারকারীদের হাতে আমরা দেশ তুলে দিব না। ওয়ান ইলাভেনের সময় তখনকার উপদেষ্টরা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। এক টাকার দুর্নীতি তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয় আমরা জীবন দিয়েছি, আমাদেরকে আজকে কেউ বলছে রাজাকার, কেউ বলছে অন্যকিছু, কিন্তু আমরা টেম্পুস্ট্যান্ড দখর করেছি, টাকা পাচার করেছি, কেউ বলতে পারেনি। ভাইয়েরা দেশের টাকা যাতে পাচার না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ড. ইউনুসকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, এ কারণেই ড. ইউনুস যদি না হতো, এদেশ দরিদ্র হয়ে যেত। আমরা ড. ইউনুসকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এজন্য যে তিনি দেশের পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মো. ইব্রাহিম ও দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল হাক্কানী। বিশেষ বক্তা ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতের আমীর মনির আবছার ও সেক্রেটারি নুর উদ্দীন জাহাঙ্গীর।

আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সৈয়দ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব মাস্টার ও সাংবাদিক নুরুল আমিন মিন্টু। এতে কুরআন তেলাওয়াত করেন চরলক্ষ্যা ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ লোকমান ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন মো. রফিক ও মো. ফরিদ। মুনাজাত পরিচালনা করেন চরলক্ষ্যা গাউসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সিরাজুল মোস্তফা।

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ