কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে অপহৃত মোহাম্মদ শাকের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে অপহরণের ৩২ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়াপাড়া পাহাড়ি এলাকায় অপহৃতকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অপহরণের শিকার মোহাম্মদ শাকের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার ঘোনা পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনার পর থেকে তার বাবার সন্ধানে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে রাতে তার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ি এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা তার বাবাকে ছেড়ে দিয়েছে।
ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলের, উদ্ধারের পর আমার বাবাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এখন আমরা বাবাকে বাড়ি নিয়ে এসেছি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভোরে প্রতিদিনের মত মো. শাকের স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। পরে নামাজ শেষ হলেও বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে রাতে তার স্ত্রীর নাম্বারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে অপহরণের কথা জানিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মুক্তিপণ দাবির পর ঘটনার ব্যাপারে রাতেই স্বজনরা টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে অপহৃতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের অভিযানের মুখে মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃত মোহাম্মদ শাকেরকে দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি এখন নিজের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
পূর্বকোণ/মানিক/জেইউ/পারভেজ