চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

মিরসরাইয়ে বালু সরবরাহ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৪

মিরসরাই সংবাদদাতা

৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:০৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ এলাকার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজ্ঞানাগার নিমার্ণের বালু সরবরাহ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

 

আহতরা হলেন, মাহফুজ আলম সোহান (৪৮), জামাল উদ্দিন প্রকাশ শিবির জামাল (৩৯), মো. মামুন (৩৫), আলাউদ্দিন (৩৬)। এদের মধ্যে গুরতর আহত হওয়ায় জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সাথে সকালে বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

 

এবিষয়ে বিজ্ঞানাগার নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম বলেন,‘নির্মাণ কাজের বালু ভরাটের কাজ কোন গ্রুপের লোকদের দেওয়া হয়নি। স্যাম্পলের জন্য বালু নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।’

 

ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. মাহফুজ আলম সোহান জানান, বালু বরাটের কাজ তাদের লাইসেন্স জে এস এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বালু বরাটের সময় বাধা সৃষ্টি করে। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াতের হেলমেট বাহিনী, প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর। এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।

 

জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাঈন উদ্দিন জানান, এটি ব্যবসায়িক ঘটনা। হামলার বিষয়ে নিন্দা জানাই। বিএনপির নেতাদের সাথে বসে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর নুরুল হুদা হামিদী বলেন, নির্মাণকাজের বালু সরবরাহের দায়িত্ব পায় জেএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু বালু পাঠানোর পর বিএনপির লোকজন আটকে দেয় এবং নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে জামাল, আলী ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএনপির সাথে বসবো।

 

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাজিয়া বলেন, ‘জোরারঞ্জে মারামারির ঘটনায় আহত অবস্থায় ৩ জন হাসপাতালে এসেছিলো। তাদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও মো. মামুনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

 

জোরারগঞ্জ থানার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘জোরারগঞ্জ এলাকায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রাজনৈতিক ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

পূর্বকোণ/সাদমান/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট