কক্সবাজারের রামু উপজেলার প্রধান স্টেশন চৌমুহনী ও পাঞ্জাগানা স্টেশনের দু’পাশে সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৮০টির মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রামু উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রামু ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
অভিযানে চৌমুহনী স্টেশন ও পাঞ্জাগানা এলাকার প্রায় ৮০টির অধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে কাউকে আটক না করা হলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের সতর্ক করে দেন এসিল্যান্ড।
জানা যায়, ফুটপাত দখল করে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে আসছিলেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে চৌমুহনী স্টেশনে যানজটসহ নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে রামুর দূর দুরান্ত থেকে আসা জনসাধারণ।
রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল জানান, রামুর প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ ঝুঁপড়ি দোকান নির্মাণ করা হয়। যে কারণে সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি অসহনীয় যানজটে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ। ফুটপাত দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে পথচলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্ঘনার আশঙ্কাও বিদ্যমান। জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, রামুকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সমস্ত অসঙ্গতির বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে দেরিতে হলেও চৌমুহনীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রামু বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/নীতিশ/জেইউ/পারভেজ