রাসুলের (স.) সীরাতকে ধারণ করে ইকামতে দ্বীনের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কল্যাণমূখী সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি আ. ন. ম শামসুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সীরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্যের পতন শুরু হয়েছে। একটি বৈষম্যহীন সমাজ মানেই হল সমাজকে কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালনা করা। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ব্যতীত বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা অসম্ভব। যতদিন পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্র কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত হবে না ততদিন পর্যন্ত দেশে বৈষম্য চলতেই থাকবে। যারা দুর্নীতি করেছে, মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে তাদেরকে বহাল রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বৈষম্যহীন করা সম্ভব নয়। তাই রাসুলের (স.) সীরাতকে ধারণ করে ইকামতে দ্বীনের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কল্যাণমূখী সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আমীর আলাউদ্দীন শিকদার।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, ড. হেলাল উদ্দীন নোমান, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা প্রমুখ।
সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম আরও বলেন, ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করতে হয়। এখন আমরা মন্দ বা গর্হিত কাজের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা দিয়ে কুরআন সুন্নাহর কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিশেষ অতিথি উত্তর জেলার আমীর আলাউদ্দীন শিকদার বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আমাদের শুধু বক্তব্য শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা যাবে না। আমাদের ব্যক্তিগত, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে। পতিত হাসিনা সরকার সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার নামে দেশের সকল স্তরে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা তাদের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষদের কোথাও কোন স্থান দেয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। সমাজের একশ্রেণির মানুষ ইসলামকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। সমাজ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে হলে তাকওয়া সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। যাদের মধ্যে তাকওয়া নেই সেসব ব্যক্তিকে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ