টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে এবার দুইটি সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান মো. আবদুর রহিম।
তিনি বলেন, সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজি অটোরিকশা হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে পৌঁছালে ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা দুটি সিএনজির চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
অপরদিকে স্থানীয় ছৈয়দ হোসেন মেম্বার বলেন, সোমবার দিনগত গভীররাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইলের মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা বলেন, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। কতজন অপহরণ হলেন সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। টেকনাফ রেন্জ অফিসার আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আইন শৃংখলা বাহিনী মিলে আমরা এখনো উদ্ধার অভিযাান চালিয়ে যাচ্ছি।
পূর্বকোণ/পিআর