চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব

রাউজানে ডেকোরেশন মালিকসহ ৫ জনকে মেরে আহত

রাউজান সংবাদদাতা

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪০ অপরাহ্ণ

রাউজানে চাঁদা না দেয়ায় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থক হওয়ায় ডেকোরেশন মালিকসহ ৫ জনকে মেরে আহত করে দোকান লুটপাট, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিতদের একটি তোরণ ভাঙচুরের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ১০ নম্বর পূর্বগুজরা ইউপির গরীব উল্লাহ পাড়ার বাসিন্দা মরহুম মোহরম আলীর ছেলে সালেহ আহমদ।

 

তিনি বলেন, আমি বাগোয়ান ইউপির গশ্চি ধরেরটেক এলাকার সৈয়দ আমিন ডেকোরেটার্সের স্বত্বা ধিকারী এবং বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর রাজনীতির কর্মী। বেশ কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ গোলাম আকবর গ্রুপের মো. মামুনের ছেলেরা আমার কাছে ব্যবসা করতে চাইলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। গত ৫ ডিসেম্বর মামুন গ্রুপের ছেলেরা আমাকে এবং ভাগিনা জামশেদ আলমকে পিটিয়ে জখম করে। দু’জনই ৮ দিন হাসপাতালে ছিলাম। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরলে তারা আমাকে কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। সেখান থেকে লোকজন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। সর্বশেষ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গরীব উল্লাহ পাড়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সাজসরঞ্জাম টমটম ভর্তি করে আমার ভাগিনা মোরশেদ আলম আমার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় মামুন গ্রুপের ছেলেরা তাকে আটকে টমটমসহ সাজ-সরঞ্জাম, মোবাইল ছিনতাই করে। পরে বিকেলে আরেকটি বিয়ের জন্য আরো কিছু ডেকোরেটার্স মালামাল আনতে  আমার ভাই ছালামত আলীর দোকানে খালাতো ভাই সাহেদুল আলম গেলে তাকে মাথা ফেটে দেয় মামুন গ্রুপের ছেলেরা। এ সময় ভাগিনা মোরশেদ আলমকেও মারধর করে। এরপর মোরশেদ আলমের মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।

 

এদিকে শনিবার লাম্বুর হাটে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর জনসভায় যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপের কর্মীদের হামলায় মুহাম্মদ নুরুল আবসার নামের আরো একজন আহত হয়। এর জেরে শনিবার সন্ধ্যায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিতরা ব্রাহ্মণহাট বাজারে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী মামুনের নির্মাণ করা তোরণ ভাঙচুরের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওইসব ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট