চট্টগ্রামের রাউজানে অপহরণের ২ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে, একইদিন সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার অলিমিয়া হাট অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান মাজার এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম নুরু।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান মাজার এলাকা থেকে জাবেদ, রাশেদ, নুরুল হুদা, আলমগীর, জিকুসহ ৬ থেকে ৮টি মোটরসাইকেল করে ১২ থেকে ১৪ জন সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করে। এ সময় মোটরসাইকেলে উঠতে দেরি হওয়াতে মোজাহার আলম আমাকে থু থু মারে। আমার মোবাইল ভাঙচুর ও আমাকে মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, মারধর করে এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। সেখানে আমার পকেটের ১৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এছাড়াও প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে। পরে নানা চাপে পড়ে অলিমিয়া হাট বাজারের কাশেম মেম্বারের ঘাটা এলাকায় ২ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) একেএম সফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্বকোণ/জা/জেইউ/পারভেজ